এই মহাজাগতিক বিশ্বে সবই সম্ভব । বিয়ে বলতে আমরা সাধারণত আনন্দের অনুষ্ঠান বুঝি । বন্ধু বান্ধবদের হাসি-ঠাট্টা, নাচ-গানে কেটে যায় সারাদিন । কিন্তু এমন জায়গাও আছে যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসি নিষিদ্ধ । কোথাও আবার বিয়ের সময় বর ঘর ছেড়ে বেরোলেই, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা যে কোনও পুরুষই তার কনেকে চুম্বন করতে পারে ।
বিয়ে ভীষণ গম্ভীর বিষয় । তাই হাসতে মানা । মধ্য আফ্রিকার এই দেশে যদি কারও বিয়ে ভাঙতে হয়, তাহলে একজন কমেডিয়ানই যথেষ্ট । কারণ পুরো অনুষ্ঠানই শুকনো মুখে সারেন এখানকার মানুষজন । দেশের নাম কংগো । এক অদ্ভুত বিবাহপ্রথা প্রচলিত এখানে । এদের বিবাহ অনুষ্ঠানে কেউ যদি নিমন্ত্রণ পায়, তাহলে এক অদ্ভুত মানসিক অত্যাচারে ভুগতে হবে তাকে । কারণ বর-বধূর মুখে হাসি দেখতে পাওয়া যায় না । বিয়ে থেকে শুরু করে প্রীতিভোজ, অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বর-বধূর হাসিতে যেন অর্ডিন্যান্স জারি করা থাকে । তারাও নিরুপায় । কারণ যদি কারও মুখ থেকে যদি একটু হাসি বেরিয়ে আসে, তাহলে বিয়ের অসম্মান হয় । এখানকার মানুষ এরকমই মনে করে । কংগোর মানুষের বিশ্বাস, বিয়েতে নবদম্পতি হাসা মানে তাদের সম্পর্ক বা বিয়েটাকে খুব হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে । যদি কেউ হাসে, তাহলে সে তার বিয়ে বা সম্পর্ক নিয়ে উদাসীন । এর জেরে আত্মীয়দের মধ্যে দম্পতির একটা অন্য ছবি তৈরি হতে পারে । এই আশঙ্কা থেকেই কার্যত চুপচাপ, বলা ভালো বিনা হাসিতেই বিয়ে সারতে হয় যুগলকে । এমনকি বিয়েতে তোলা কোনও ছবিতেও তাদের হাসিমুখে দেখা যায় না । পুরো অনুষ্ঠানে সাধারণত মেঝের দিকেই মুখ নিচু করে থাকে কন্যা । দেখলে মনে হয় যেন কোনও স্বজন হারানোর শোকে বিভোর সবাই ।