দিল্লি, 7 জানুয়ারি : 2012-র 16 ডিসেম্বর একটি ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে । নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয় নির্ভয়াকে । 13 দিন পর তাঁর মৃত্যু হয় । সেই ঘটনার 7 বছর পর দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল আজ । 22 জানুয়ারি সকাল 7 টায় চার দোষীকে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে আজ রায় দেয় দিল্লি পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট । একনজরে কোন পথে এগোল নির্ভয়া গণধর্ষণের বিচার ।
2012
16 ডিসেম্বর :নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করা হয় নির্ভয়াকে । ঘটনায় ছয়জনের নাম উঠে আসে । রাম সিং, তার ভাই মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও এক নাবালক ।
২৯ ডিসেম্বর : সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার ।
2013
3 জানুয়ারি : অপহরণ, ডাকাতি, গণধর্ষণ, খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ পাঁচ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ।
28 জানুয়ারি : জুভিনাইল জাস্টিস বোর্ড ষষ্ঠ অভিযুক্তকে নাবালক বলে ঘোষণা করে ।
2 ফেব্রুয়ারি : খুন সহ 13 টি অপরাধে পাঁচ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় ।
11 মার্চ : নির্ভয়া গণধর্ষণের মূল অভিযুক্ত রাম সিংকে ঝুলন্ত অবস্থায় তিহার জেলে পাওয়া যায় ।
21 মার্চ : দেশে ধর্ষণ আইনে সংশোধন আনা হয় । সংশোধিত আইনে দোষীদের কড়া শাস্তির কথা বলা হয় । ধর্ষণের মতো অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে ফাঁসির সাজা হতে পারে ।
31 অগাস্ট : জুভিনাইল জাস্টিস বোর্ড নির্ভয়াকাণ্ডে অভিযুক্ত নাবালককে গণধর্ষণ ও খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জন্য হোমে থাকার নির্দেশ দেয় ।
10 সেপ্টেম্বর : ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নির্ভয়াকাণ্ডের চার অভিযুক্ত মুকেশ, বিনয়, অক্ষয় ও পবনকে যুবতিকে গণধর্ষণ, অস্বাভাবিক অপরাধ ও খুন এবং যুবতির পুরুষ বন্ধুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দোষী ঘোষণা করে ।
13 সেপ্টেম্বর : চার দোষীকে ফাঁসির সাজা দেয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট । ট্রায়াল কোর্ট ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করতে মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টে পাঠায় ।
1 নভেম্বর : দিল্লি হাইকোর্ট ফাঁসির সাজার মামলার শুনানি শুরু করে ।
2014
13 মার্চ : দিল্লি হাইকোর্ট দোষীদের ফাঁসির সাজা বহাল রাখে ।
2015
20 ডিসেম্বর : নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত নাবালকের মুক্তির স্থগিতাদেশকে খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট ।
2016
3 এপ্রিল : সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়