দিল্লি, 20 ফেব্রুয়ারি : সংশোধনাগারের দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে জখম করার চেষ্টা করল নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা । 3 মার্চ ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়ার চার দোষীকে । তার সপ্তাহ দুয়েক আগে এই ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে কোথাও কি আবার সাজা বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে ? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
প্রায় সাত বছর পর শেষমেশ নির্ভয়া মামলার রায় দেয় আদালত । প্রথমে 22 জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হয় ৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদনের কারণে পিছিয়ে যায় ফাঁসির দিন ৷ নতুন করে 1 ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন ঠিক করা হয় ৷ কিন্তু আবার পিছিয়ে যায় ফাঁসির দিন । বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন নির্ভয়ার মা । রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল বিনয়ও । কিন্তু, তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । সেই খারিজকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় বিনয় । বিনয়ের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, সংশোধনাগারে থাকাকালীন অত্যাচার হয়েছে বিনয়ের উপর । কিন্তু, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সময় বিনয়ের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেননি রাষ্ট্রপতি । শেষমেশ বিনয়ের আবেদনও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত ।