দিল্লি, 29 জুলাই : পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ ৷ তারপরই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে নৌসেনা ৷ সেনা সূত্রে খবর, চিনকে পরিষ্কার বার্তা দিতে এই মহাসাগরে প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারত ৷
একটি সূত্রের তরফে বলা হয়, চিন ভারতের এই বার্তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে ৷ 15 জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন 20জন ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা ৷ তারপরই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজের মোতায়েন বাড়াচ্ছে নৌসেনা ৷
সেনা সূত্রে বলা হয়, সরকার বহুমুখী পদ্ধতির ব্যবহার শিখে নিয়েছে ৷ সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা, কূটনীতি ও অর্থনীতির দিক থেকে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে যে পূর্ব লাদাখে চৈনিক হটকারিতাকে কোনও মতেই মেনে নেওয়া হবে না ৷
তিন সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়মিত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চলেছেন ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার পাশাপাশি চিনকে ভারতের সুস্পষ্ট বার্তা সম্পর্কে বোঝার জন্যই তাঁদের এই আলোচনা ৷ একটি সূত্রের তরফে বলা হয়, "হ্যাঁ ৷ চিন আমাদের বার্তা বুঝতে পেরেছে ৷"
ভারতের এই মোতায়েনের ফলে কি চিন কোনও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ? ওই সূত্রের তরফে বলা হয়, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা জাহাজ বাড়াতে দেখা যায়নি ৷ এর কারণ হিসেবে ওই সেনাসূত্র বলে, দক্ষিণ চিন সাগরে অ্যামেরিকা শক্তি বাড়াচ্ছে ৷ তাই চিনা নৌসেনা সেখানেই সবচেয়ে বেশি জাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে ৷
ভারতীয় নৌসেনা দ্রুত বিকাশমান আঞ্চলিক সুরক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকার নৌসেনা এবং জাপান মেরিটাইম স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো বিভিন্ন বন্ধুত্বপূর্ণ নৌসেনার সঙ্গেও তার অপারেশনাল সহযোগিতা বাড়িয়ে দিচ্ছে । সম্প্রতি ভারতীয় নৌসেনা অ্যামেরিকা, ফরাসি ও জাপানি নৌসেনার সঙ্গে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অনুশীলন শুরু করেছে যা চিনকে নিজেদের শক্তির বার্তা প্রেরণ করছে ৷
শুধু নৌসেনা নয়, গালওয়ান ভ্যালি সংঘর্ষের পর নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা ৷ পূর্ব লাদাখে ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কয়েকটি জায়গায় সুখোই 30 MKI, জাগুয়ার ও মিরাজ 2000-এর মতো প্রথমসারির যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ৷ রাতে কমব্যাট এয়ার পেট্রলিংও করছে বায়ুসেনা ৷