পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসের ক্ষমতা রাখে নাগ - Power of Indian Army

ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ৷ ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু স্থির করা যায় ৷

নাগ ক্ষেপণাস্ত্র
নাগ ক্ষেপণাস্ত্র

By

Published : Jul 13, 2020, 7:01 AM IST

নাগ একধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ৷ যে কোনও পরিবেশে, যেকোনও আবহাওয়ায় এটি ব্যবহার করা যায় ৷ ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ৷

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজ়েশনের অধীনে থাকা ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিজ়াইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি অংশ হল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড ৷ 2019 সালের জুলাই মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদনের জন্য তৈরি ৷

নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য

নাগ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য কী কী উৎক্ষেপণ মাধ্যম ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা ?

  • NAMICA
  • HAL রুদ্র
  • HAL লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার

নাগের পরিবারে রয়েছে চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র

প্রস্পিনা (500 মিটার- 4 কিলোমিটার) : প্রস্পিনা (Prospina) নামে নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের এই স্থল সংস্করণটি NAMICA (নাগ ক্ষেপণাস্ত্র ক্যারিয়ার) নামে পরিচিত একটি ট্র্যাকিং-কাম-লঞ্চ গাড়ি থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় । লাইট ইনফ্যান্ট্রি ভেহিকল BMP-2 এ বসানো হয়েছে এই উৎক্ষেপণ সিস্টেম ৷ এই গাড়ি একসঙ্গে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে । প্রতিটি লঞ্চার এক মিনিটের মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে ।

হেলিনা (7-10 কিলোমিটার) : এটি নাগের এমন একটি সংস্করণ যা হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা যায় ৷ HAL রুদ্র হেলিকপ্টারে এর লঞ্চ সিস্টেমটি সেট করা হয় ৷ এই লঞ্চ সিস্টেমটি ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনা উভয় বাহিনীই ব্যবহার করে ৷

বহনযোগ্য অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র : নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের এই সংস্করণটি তুলনামূলক হালকা ৷ এর ওজন 14.5 কিলোগ্রাম ৷ এটি কাঁধে নিয়ে নিক্ষেপ করা যায় ৷ এর রেঞ্জ 2.5 কিলোমিটার পর্যন্ত ৷

কীভাবে কাজ করে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র ?

ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু স্থির করা যায় ৷ থার্মাল ছবির মাধ্যমে এটি প্রথমেই শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে ৷ লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর তার একটি থার্মাল রেফারেন্স ছবি নাগের সিকার সিস্টেমে সংরক্ষিত হয়ে যায় ৷ এরপর ওই ছবির উপর ভিত্তি করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় ৷

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগের সংখ্যা

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা 40টি ৷ আরও 400টি তৈরির অর্ডার দেওয়া আছে ৷

নাগের ইতিহাস

এ পি জে আবদুল কালামের অধীনে 1988 সালে শুরু হয়েছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ ৷ 1990 সালের নভেম্বর মাসে প্রথম এর পরীক্ষা করা হয় ৷ কিছু সমস্যার জন্য মাঝে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায় ৷ 1997 সালের সেপ্টেম্বরে ও 2000 সালের জানুয়ারিতে ফের এর পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে এটি সাফল্য পায় ৷

2008 সালে রাজস্থানের পোখরানের টেস্ট রেঞ্জ থেকে এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয় ৷ তাতেও সফলতা মেলে ৷ ওই বছরই ভারতীয় সেনা 443টি নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অর্ডার দেয় ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটি ইউনিট তৈরি করতে খরচ 3.2 কোটি টাকা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details