নাগ একধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ৷ যে কোনও পরিবেশে, যেকোনও আবহাওয়ায় এটি ব্যবহার করা যায় ৷ ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ৷
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজ়েশনের অধীনে থাকা ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিজ়াইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি অংশ হল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড ৷ 2019 সালের জুলাই মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদনের জন্য তৈরি ৷
নাগ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য কী কী উৎক্ষেপণ মাধ্যম ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা ?
- NAMICA
- HAL রুদ্র
- HAL লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার
নাগের পরিবারে রয়েছে চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র
প্রস্পিনা (500 মিটার- 4 কিলোমিটার) : প্রস্পিনা (Prospina) নামে নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের এই স্থল সংস্করণটি NAMICA (নাগ ক্ষেপণাস্ত্র ক্যারিয়ার) নামে পরিচিত একটি ট্র্যাকিং-কাম-লঞ্চ গাড়ি থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় । লাইট ইনফ্যান্ট্রি ভেহিকল BMP-2 এ বসানো হয়েছে এই উৎক্ষেপণ সিস্টেম ৷ এই গাড়ি একসঙ্গে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে । প্রতিটি লঞ্চার এক মিনিটের মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে ।
হেলিনা (7-10 কিলোমিটার) : এটি নাগের এমন একটি সংস্করণ যা হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা যায় ৷ HAL রুদ্র হেলিকপ্টারে এর লঞ্চ সিস্টেমটি সেট করা হয় ৷ এই লঞ্চ সিস্টেমটি ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনা উভয় বাহিনীই ব্যবহার করে ৷
বহনযোগ্য অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র : নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের এই সংস্করণটি তুলনামূলক হালকা ৷ এর ওজন 14.5 কিলোগ্রাম ৷ এটি কাঁধে নিয়ে নিক্ষেপ করা যায় ৷ এর রেঞ্জ 2.5 কিলোমিটার পর্যন্ত ৷