ওয়ারাঙ্গল, 23 মে : যতদিন যাচ্ছে, রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে ওয়ারাঙ্গলের কুয়োয় মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে 9 জনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ ৷ মৃত ব্যক্তিদের ফোন উদ্ধার করছেন তদন্তকারীরা ৷ সেই ফোনের কললিস্ট ও লোকেশন দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, মৃত্যুর আগের রাতে 9 জনই একসঙ্গে, এক জায়গায় ছিলেন ৷
বৃহস্পতিবার 4 জন ও গতকাল আরও 5 জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় তেলাঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলার গোরেকুন্টা এলাকার একটি কুয়ো থেকে ৷ এর মধ্যে 6 জন একই পরিবারের সদস্য ৷ প্রত্যেকেই বাঙালি ৷ কর্মসূত্রে 20 বছর ধরে ওয়ারাঙ্গল জেলার গোরেকুন্টায় থাকতেন ৷ তাঁরা ওয়ারাঙ্গলে বসবাস শুরু করার আগে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন ৷ বাকি 3 জনের মধ্যে দুইজন বিহারের বাসিন্দা ছিলেন ৷ তাঁরাও কর্মসূত্রে থাকতেন তেলাঙ্গানায় ৷ তৃতীয়জনের নাম শাকিল ৷ তিনি এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন ৷
সেদিন চাষের জমিতে থাকা একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় মকসুদ, তাঁর স্ত্রী নিশা, মেয়ে বুসরা ও তিন বছরের নাতির মৃতদেহ ৷ পর দিন, অর্থ্যাৎ শুক্রবার সেই কুয়োতেই ভেসে ওঠে আরও একটি মৃতদেহ ৷ প্রশাসনের তরফ থেকে কুয়োর সমস্ত জল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ জল তুলতেই চোখে পড়ে আরও চারটি মৃতদেহ ৷ এর মধ্যে শাবাজ (21) ও সোহেল (20) মকসুদ আলমের ছেলে ৷ বাকি তিনজন হলেন শ্রীরাম (35), শ্যাম (40) ও শাকিল (40) ৷ শ্রীরাম ও শ্যাম বিহারের বাসিন্দা৷ স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল একটি কারখানায় গাড়ি চালকের কাজ করতেন বলে জানা যায় ৷ তদন্তের জন্য 9 জনের মৃতদেহই আজ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷