দিল্লি, 7 জানুয়ারি : 13 দিনের সেই লড়াই আজ স্বার্থকতা পেল !
সে-দিন সুবিচারের দাবিতে হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় দিল্লির রাজপথ গর্জে উঠেছিল ৷ দাঁতে দাঁত চেপে সেই লড়াই যেন সফল হল ৷ চার দোষীর সাজা ঘোষণা করল আদালত ৷ ফাঁসির সাজা ৷ সাত বছর ধরে চেপে রাখা চোখের জল আর বাঁধ মানল না ৷ বলে উঠলেন, মেয়েটা সুবিচার পেল ৷
তিনি আশাদেবী ৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক গৃহবধূ ৷ পরিচিতি তেমন ছিল না বললেই চলে ৷ কিন্তু, 2012 সালের 16 ডিসেম্বর পালটে দিয়েছিল সব হিসেব-নিকেশ ৷ 23 বছরের মেয়েটাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ দেহের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল জরায়ুর বেশ কিছুটা ৷ জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা ৷ 13 দিনের মাথায় থমকে গিয়েছিল নির্ভয়ার লড়াই ৷ আর তারপর সুবিচারের দাবিতে শুরু হয়েছিল আর এক লড়াই ৷ সুবিচারের লড়াই ৷ দাবি ছিল একটাই ৷ চরম শাস্তি ৷ অবশেষে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট চার দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল ৷
ভাঙা ভাঙা গলায় বলে উঠলেন, "মেয়েটা বিচার পেল ৷ আজকের রায়ের ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়ল ৷" স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বদ্রীনাথ সিংও (নির্ভয়ার বাবা) ৷ যারা মেয়েটাকে কেড়ে নিয়েছিল, তাদের চরম শাস্তির কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ৷ আদালত কক্ষেই হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন ৷
না ৷ ক্ষোভ-ভয়-অপমানের নয় ৷ এই কান্না আবেগের ৷ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সাফল্যের ৷ কথায় কথায় বলে ফেললেন, "অনেকগুলো রাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি ৷ চোখ বন্ধ করলেই মেয়ের মুখটা ভেসে উঠত ৷ বহুদিন নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি ৷ সুবিচারের আশায় আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছি ৷ আশা ছিল, সুবিচার পাবই ৷"