পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

লকডাউনে ইন্টারনেটে ভিডিয়োর মান খারাপ? কোরোনাকেই দোষ দিলেন গুগলের মুখপাত্র

ইন্টারনেটের ব্যবহার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ইউটিউব, ফেসবুক, অ্যামাজ়ন ও নেটফ্লিক্স তাদের ভিডিয়োর মান হাই ডেফিনিশন ও আল্ট্রা-হাই ডেফিনিশন থেকে স্ট্যান্ডার্ডে নামিয়ে এনেছে ৷ কোরোনা ভাইরাসের জন্য ঘরবন্দী থাকায় ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে মানুষ ইন্টারনেটে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷

লকডাউনে ইন্টারনেটে ভিডিয়োর মান খারাপ
লকডাউনে ইন্টারনেটে ভিডিয়োর মান খারাপ

By

Published : Mar 29, 2020, 6:53 PM IST

হায়দরাবাদ, 29 মার্চ : টানা 21 দিন ঘরে বন্দী ৷ খুব দরকার ছাড়া বাইরে বেরোতে মানা ৷ শুধু শুধু বেরোলে জুটছে পুলিশের মার ৷ এই সময়ে ঘরে বসে সময় কাটাতে হলিউড সিনেমা বা বলিউড ব্লকবাস্টার দেখার কথা মাথায় আসতেই পারে ৷ কিন্তু, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজ়ন প্রাইমে ভিডিয়োর মান খুব খারাপ ?

এই খারাপ মানের জন্য দয়া করে আপনার পরিষেবা সরবরাহকারীকে দোষ দেবেন না যেন ৷ ধন্যবাদ জানান COVID-19-কে ৷ কারণ, এই লকডাউনের জন্য বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে বিশাল উৎসাহ দেখা গিয়েছে ৷ আর তাই কমে গিয়েছে ভিডিয়োর মান ৷ কোরোনা ভাইরাসের জন্য ঘরবন্দী থাকায় ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে মানুষ ইন্টারনেটে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ ইন্টারনেটের ব্যবহার এভাবে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ইউটিউব, ফেসবুক, অ্যামাজ়ন ও নেটফ্লিক্স তাদের ভিডিয়োর মান হাই ডেফিনিশন ও আল্ট্রা-হাই ডেফিনিশন থেকে স্ট্যান্ডার্ডে নামিয়ে এনেছে ৷

গুগলের এক মুখপাত্র ETV ভারতকে জানান, "এই নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে সিস্টেমের উপর চাপ কমাতে আমরা আমাদের অংশীদারিত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে সরকার ও নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছি ৷ গত সপ্তাহে আমরা ঘোষণা করেছিলাম, ইউটিউবে সাময়িকভাবে সমস্ত ভিডিয়োর ডিফল্ট মান স্ট্যান্ডার্ড করছি ৷ এই সংকটের সময় এই পরিবর্তনটি আমরা বিশ্বব্যাপী প্রসারিত করব ৷"

প্রথমে ইউরোপে ও পরে সব দেশে ব্যান্ডউইথকে কমাতে ইউটিউবের পাশাপাশি নেটফ্লিক্স, অ্যামাজ়ন, ডিজ়নি প্লাসের মতো স্ট্রিমিং-ভিডিয়ো পরিষেবাগুলি ও অ্যাপেল কম্পানিও এগিয়ে এসেছে ৷ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামও ভারত, ইউরোপের পাশাপাশি অ্যামেরিকায় ভিডিয়োর মান কমানোর ঘোষণা করেছে ৷

ETV ভারতের সঙ্গে কথা বলার সময় সেলুলার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (COAI)-র ডিরেক্টর জেনেরাল রাজন ম্যাথিউজ় বলেন, ঘরে বসে কাজ করার কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রায় 30 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ৷ "জনতা কারফিউ ও পরবর্তী লকডাউনের ফলে ইন্টারনেটে যানজট তৈরি হয়েছে ৷ ভিডিয়োর মান স্ট্যান্ডার্ড করায় বর্তমানে এর প্রবৃদ্ধি 8-10 শতাংশ কমেছে ৷ পরবর্তীতে সম্প্রচারকরা যদি তাদের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করে দেয় তাহলে এটি 20 শতাংশ কমে আসবে ৷"

পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে টিকটকও (একটি ভিডিয়ো শেয়ারিং সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট) তার ভিডিয়োর মান স্ট্যান্ডার্ডে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ টিকটক বাইটড্যান্সের মালিকাধীন একটি কম্পানি ৷ এই বাইটড্যান্সের তরফে 21দিনের লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর একটি বার্তা দেওয়া হয়েছিল ৷ বলা হয়েছিল, "একটি দায়বদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমরা পরবর্তী 21 দিনের জন্য হাই ডেফিনিশন ও আল্ট্রা-হাই ডেফিনিশনের ভিডিয়োগুলিকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷"

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, "নেটওয়ার্কে ভিড় কমাতে সাহায্য করার জন্য আমরা ভারতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অস্থায়ীভাবে ভিডিয়োর বিট রেট কমিয়ে দেব ৷ বেশি চাহিদার জন্য এই সময় যেকোনও ব্যান্ডউইথের সীমাবদ্ধতা পরিচালনা করতে আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ তবে, এই মহামারি চলাকালীন মানুষ যাতে ফেসবুক পরিষেবা ব্যবহার করতে সক্ষম থাকে, সেদিকেও আমরা নজর রাখব ৷"

লকডাউনের কারণে দেশজুড়ে বেশিরভাগ কম্পানি বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দিয়েছে ৷ ফলে, অনেক বেশি-আরও বেশি করে ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করছে ৷ সারাদিনে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার হয় সকাল সাড়ে 7টা থেকে 8টার মধ্যে ৷ কোথাও বেলা সাড়ে 12টা থেকে 1টার মধ্যে ৷ আবার বিকেল সাড়ে 4টে থেকে রাত সাড়ে 10টা পর্যন্ত ৷ ম্যাথিউজ় বলেন, "প্রথমার্ধের তুলনায় সন্ধ্যা থেকে ইন্টারনেটে বেশি যানজট দেখা যায় ৷" এই সমস্ত কাজের মধ্যেও ব্যাঙ্ক, স্টক মার্কেট ও অন্যান্য পরিষেবাগুলির লেনদেন নির্ভর করবে যে কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কীভাবে দায়বদ্ধতার সঙ্গে এই ডেটা ব্যবহার করছেন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details