দিল্লি, 15 এপ্রিল : কোরোনার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ হটস্পট হিসেবে যেসব এলাকা চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলবে ৷
লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দেশে যেসব জায়গায় কোরোনার সংক্রমণ সবথেকে বেশি সেই সব জায়গাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ হটস্পট এলাকায় কোনও মানুষকে পরীক্ষা না করে সেখানে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া যাবে না ৷ চিকিৎসা পরিষেবা, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও সরকারি কাজের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া এইসব এলাকায় সমস্ত কার্যকলাপের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ এছাড়া সারা দেশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ৷
এর পাশাপাশি হটস্পট ও সংলগ্ন অঞ্চল বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় 20 এপ্রিলের পর থেকে কিছু ক্ষেত্র লকডাউন থেকে ছাড় পাচ্ছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, মাছ চাষ ,জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী আন্তরাজ্য পণ্য পরিবহণ (রেল, বিমান, সড়ক), ই-কমার্স, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, IT, চা ও চট শিল্প, গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রান্নার গ্যাস-পেট্রোল-ডিজেল পরিষেবা, ক্যুরিয়ার পরিষেবা, মুদি দোকান-সবজি বাজার-ফলের বাজার (এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই) ৷ পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি-ছুতোর’এর মতো অসংগঠিত শ্রমিকরা পরিষেবা দিতে পারবেন ৷