জুনাগড়, 19 ডিসেম্বর : চতুর্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী ৷ এরপরেই তিন মেয়েকে কুয়োয় ফেলে আত্মঘাতী হলেন গুজরাতের এক কৃষি শ্রমিক ৷ গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে জুনাগড়ের খাম্বালিয়ায় ৷ মৃত শ্রমিকের নাম রাশিক সোলাঙ্কি (35) ৷
পুলিশ জানিয়েছে, তিন মেয়েকে হত্যা করার পর বাড়ির বাইরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি ৷ বাড়ির অদূরেই এক কুয়ো থেকে অঞ্জলি (7), রিয়া (5) ও জল্পা (3) নামের ওই তিন নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷
রাশিক গ্রাম রক্ষক দলের সদস্য ছিলেন ৷ বছর দশেকের বিবাহিত জীবন ৷ শুরু থেকেই পুত্রসন্তান চাইছিলেন তিনি । কিন্তু পরপর তিন মেয়ের পর ফের কন্যাসন্তানের জন্ম ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছে পুত্রসন্তান না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রাশিক ৷
দু'সপ্তাহ আগেই চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেয় রাশিকের স্ত্রী ৷ সদ্যোজাত চতুর্থ কন্যাকে নিয়ে তার স্ত্রী দু'দিনের জন্য বাপের বাড়ি গিয়েছে ৷ অভিযোগ, স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে গতকাল বিকেলে রাশিক তার তিন মেয়েকে মোটর সাইকেলে করে বাড়ির অদূরেই লালজি ভুয়া নামের এক ব্যক্তির জমিতে নিয়ে যায় ৷ সেখানে 100 ফুট গভীর এক কুয়োতে অঞ্জলি, রিয়া ও জল্পাকে ফেলে দেয় সে ৷ এরপর নিজেও বাড়ির বাইরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে ৷
আরও পড়ুন : সন্তানদের খুন করে 2 স্ত্রীকে নিয়ে আত্মঘাতী ব্যক্তি
ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভেসান থানার পুলিশ ৷ ভেসান থানার সাব ইনস্পেক্টর এম সি চুদাসমা জানিয়েছেন, "পুত্রসন্তান না হওয়ার কারণে রাশিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ৷ চতুর্থবার কন্যা সন্তানের জন্মের পরে কার্যত মাথার ঠিক রাখতে না পেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷"