দিল্লি, 1 অগাস্ট : দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ ৷ আর এক যুবককে বেধড়ক মারধর করছে কয়েকজন ৷ হাতুড়ি দিয়ে মারা হচ্ছে ৷ অভিযোগ, ঘটনাস্থানে থেকেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি । প্রায় 12 জন দুষ্কৃতী মিলে লুকমান নামে ওই যুবককে মারতে থাকে । সন্দেহ ছিল, ওই যুবক গোরুর মাংস পাচার করছেন । এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
গতকাল সকাল ন'টা নাগাদ গুরগ্রামের কাছে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন ওই যুবক । ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলেন লুকমান ৷ প্রায় আট কিলোমিটার ট্রাকটিকে তাড়া করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা । এবং শেষে তাঁকে ধরে ফেলে । গাড়ি থেকে জোর করে নামানো হয় । হেনস্থা করা হয় । এরপরই মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা । লুকমান গোরুর মাংস পাচার করছেন বলে সন্দেহ করে দুষ্কৃতীরা ।
হাতুড়ি দিয়ে আঘাত এবং প্রচণ্ড মারধরের পর লুকমানকে বেঁধে ফেলা হয় । বেঁধে ট্রাকে তোলা হয় । নিয়ে যাওয়া হয় গুরুগ্রামের বাদশাহপুর গ্রামে । সেখানে পৌঁছে আবার তাঁকে মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা । এবার পদক্ষেপ করে পুলিশ । তাদের আটকায় । লুকমানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এবং অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ।
ওই ট্রাকের মালিক জানিয়েছেন, ট্রাকে মহিষের মাংস ছিল । প্রায় 50 বছর ধরে তিনি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত । প্রকাশ্যে এসেছে গণপিটুনির ওই ভিডিয়ো । সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবককে মারধর করা হলেও দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ ৷ তারা কেন নিষ্ক্রিয় ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি পুলিশ । ট্রাক থেকে পাওয়া মাংস পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছে ৷
ভারতের একাধিক রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ । গোরক্ষার নামে অনেক সময় অনেক দুষ্কৃতী হিংস্র পদক্ষেপ করেছে । 2015 সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয় ৷ 2017 সালে এই ধরনের ঘটনার বিরোধিতা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি বলেছিলেন, গোরক্ষার নামে মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয় ।