মুম্বই, 18 জুলাই : তিন লাখ পেরোল মহারাষ্ট্রে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা । শেষ 24 ঘণ্টায় নতুন করে 8 হাজার 348 জনের শরীরে কোরোনার সংক্রমণের হদিস মিলেছে । এই নিয়ে সে-রাজ্যে মোট কোরোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল 3 লাখ 937 ।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যদপ্তর প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে 144 জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে । এই নিয়ে সেখানে মোট কোরোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 11 হাজার 596 ।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন 1 লাখ 26 হাজার 926 জন । পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠেছেন অনেকে । সে-রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 65 হাজার 665 জন কোরোনামুক্ত হয়েছেন ।
সামনেই গণেশ পুজো । বকরি ইদের দিনও এগিয়ে আসছে । আর এই দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠানই মহারাষ্ট্রে খুব বড় করে পালিত হয় । কিন্তু, বাড়তে থাকা কোরোনা সংক্রমণের জেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আজ জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জমায়েত আগের মতোই বন্ধ থাকবে ।
পাশাপাশি উদ্ধব ঠাকরে আজ এক ভার্চুয়াল সভায় মহারাষ্ট্রের সব জেলাশাসক ও মিউনিসিপাল কমিশনারকে জানিয়ে দেন, রাজ্যের সর্বত্র ধারাভি মডেল অনুকরণ করার জন্য নির্দেশ দেন । বলেন, "নতুন করে যাতে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা না বাড়ে, তার জন্য বাড়তি নজর দিতে হবে ।"
প্রসঙ্গত, ধারাভির মতো ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় যেভাবে কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে, তার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও । 11 জুলাই ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন, WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসিস বলেছিলেন, "ইট্যালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের সবথেকে বড় বস্তি ধারাভি কোরোনা নিয়ন্ত্রণের পথ দেখিয়েছে ৷ এইসব জায়গা ঘন জনবসতিপূর্ণ ৷ তা সত্ত্বেও এখানে কোরোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়েছে ৷ নিয়মিত পরীক্ষা, সঠিক সময়ে সংক্রমিতদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানোর ফলে এটা সম্ভব হয়েছে ৷ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে কোরোনা ভাইরাসকে রুখে দেওয়া সম্ভব ৷"