দিল্লি, 6 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলটি আইনে পরিণত হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা । গতকাল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর আজ লোকসভায় পাশ হল বিলটি । এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে চলেছে । দু'টি জায়গাতেই থাকবেন লেফটেনন্ট গভর্নর ৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে 107 আসন বিশিষ্ট বিধানসভা থাকবে । তবে আগের মতো তার মেয়াদ 6 বছর নয়, বরং হবে 5 বছর । আজ লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে 370টি ৷ এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে 70টি ৷
এর আগে গতকাল বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভায় পাশ হয় বিলটি । বিলের পক্ষে ভোট পড়ে 125টি । বিপক্ষে 61 । বিলের পক্ষে সরকার সমর্থন পায়, মায়াবতীর BSP, নবীন পট্টনায়েকের BJD, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের AAP, জগনমোহন রেড্ডির YSR কংগ্রেস, AIADMK, শিবসেনা, TRS ও TDP-র । রাজ্যসভার পরে আজ লোকসভাতেও বিলটির পক্ষে দাঁড়ায় এই দলগুলি ।
এর আগে আজ লোকসভায় বিল পেশের পরই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অমিত শাহকে ৷ তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা চান ৷ অভিযোগ তোলেন, নিয়ম ভেঙে রাজ্যটিকে দু'ভাগ করা হচ্ছে ৷ বিরোধীরা একযোগে সরকারকে আক্রমণ শুরু করে এবং জানতে চায়, জম্মু ও কাশ্মীর বলতে সরকার কোন এলাকাকে ঠিক বোঝাচ্ছে ৷ উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "যখন জম্মু ও কাশ্মীর বলছি তার মধ্যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই-চিনও রয়েছে ৷"
বিলটির স্বপক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তি রাখেন, "লাদাখ ডিভিশনের মানুষ অনেক দিনের দাবি, যাতে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় । তাই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হবে, সেখানে কোনও বিধানসভা থাকবে না ।" তিনি আরও বলেন, "উন্নয়নের জন্যই লাদাখ ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷"
এদিকে 370 প্রত্যাহার পরের দিনও থমথমে শ্রীনগর সহ কাশ্মীর উপত্যকা । রাস্তার মাঝ বরাবর বিছানো রয়েছে কাঁটাতার ৷ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কাঁধে টহল দিচ্ছেন জওয়ানরা ৷ যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ইন্টারনেট-ফোন পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সেই নির্দেশিকা এখনও বলবৎ হয়েছে ৷