বাঙুর, 6 ফেব্রুয়ারি : আজকের দিনে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ ৷ এটা সমাজের জন্য অভিশাপ ৷
ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ কিন্তু আসল ছবিটা অন্যরকম ৷
সারা কলকাতা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৷ ব্যতিক্রম, বাঙুর অ্যাভিনিউ ৷ এই এলাকার স্থানীয়রা সরকারি নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত ৷ তাঁরা সেই নির্দেশিকা মেনে চলেন ৷ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে তাঁরা কাগজের ঠোঙা এবং ব্যাগ ব্যবহার করেন ৷ এলাকার দোকানদাররাও পলিব্যাগ ব্যবহার করেন না ৷
কলকাতার বিভিন্ন সুপার মার্কেটে ব্যপক হারে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় ৷ কিন্তু আপনি যদি বাঙুর সুপার মার্কেটে যান, সেখানে প্লাস্টিক খুঁজে পাবেন না ৷ রাস্তার ধারে ছোটো দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকান সব জায়গায় কাগজের ঠোঙা এবং ব্যাগ ব্যবহার করা হয় ৷ কয়েক বছর আগেও বর্ষাকালে জল জমত এই এলাকায় ৷ কিন্তু এখন এলাকা প্লাস্টিকমুক্ত ৷ তাই এখন এখানে বর্ষাকালে জল জমে না ৷
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের ঠোঙা, ব্যাগ প্রাক্তন কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এখানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হয় ৷ তিনি জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন বোর্ডের সদস্যদের থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি ৷ ফলে স্থানীয়দের সচেতন করতে একাই প্রচার অভিযান শুরু করেন ৷ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝান প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর ৷ এলাকার প্রতিটি দোকানদারদের সঙ্গেও কথা বলেন ৷ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের অনুরোধ করেন ৷
মৃগাঙ্কবাবু বলেন, "আজকে আমি উৎপাদন বন্ধ করব না কিন্তু বিজ্ঞাপন দিয়ে বলব প্লাস্টিক বন্ধ করতে হবে ৷ প্লাস্টিক বন্ধের জন্য প্রচার চালাব এদিকে উৎপাদন বন্ধ হবে না, এভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না ৷ "
শুরুতে তাঁর অনুরোধে অবশ্য কর্ণপাত করেননি স্থানীয়রা ৷ কিন্তু তিনি আশা ছাড়েননি ৷ এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে অন্য পন্থা অবলম্বন করেন ৷ প্রচার চালান, এলাকার কোনও দোকানদার যদি পলিব্যাগ বা প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করে তাহলে তাকে ফাইন দিতে হবে ৷