কোঝিকোড়, 8 অগাস্ট : এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হল ব্ল্যাক বক্স । ফ্লোরবোর্ড কেটে উদ্ধার করা হয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারও । এইগুলি থেকে তথ্য উদ্ধার হলে বিমান দুর্ঘটনার পূর্ববর্তী সময় কী ঘটেছিল তা আরও স্পষ্ট হবে । এইদিকে কোঝিকোড় বিমানবন্দর নিয়ে নিরাপত্তার ইশু আগেই ছিল বলে প্রকাশ্য এসেছে আরও কিছু তথ্য । DGCA-র তরফে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে । অভিযোগ উঠেছে, গতকাল অবতরণের আগে পরীক্ষা করা হয়নি রানওয়ে ।
ডিরেক্টরেট জেনেরাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার । এর মধ্যে সঞ্চিত রয়েছে 100-র বেশি ডেটা পয়েন্ট । বিমান অবতরণের সময় পরিস্থিতি কী ছিল, বিমানের গতিবধি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যেতে পারে । অর্থাৎ বিমানের গতি, সিস্টেম স্টেটাস জানতে পারা যাবে । দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথনও উঠে আসতে পারে তদন্তে ।
ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হবে দিল্লিতে । উড়ান কর্তপক্ষের তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখবেন । আশা করা হচ্ছে, প্রকাশ্যে আসবে আরও তথ্য । দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে ।
আজ দিল্লিতে ডিরেক্টরেট জেনেরাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন, অসমারিক বিমানমন্ত্রকের আধিকারিক, এয়ারপোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসের সদস্যরা বৈঠক করবেন । রাজিব গান্ধি ভবনে হবে বৈঠক । DGCA-র তরফে জানানো হয়েছে, আমরা তদন্ত শুরু করেছি । এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেসটিগেশন বিউরোর একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে ।
একাধিকবার কোঝিকোড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ইশু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । প্রথমবার সতর্ক করা হয় নয় বছর আগে । 2011 সালে টেল উইন্ডে বিমান অবতরণ ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন অসমারিক বিমান বিশেষজ্ঞ ক্যাপটেন মোহন রঙ্গনাথন । সেই সময় সিভিল অ্যাভিয়েশন সেফটি অ্যাডভাইসরি কমিটি (CASAC)-র অপারেশনস গ্রুপের সদস্য ছিলেন তিনি ।