পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Aug 8, 2020, 4:37 PM IST

Updated : Aug 8, 2020, 5:54 PM IST

ETV Bharat / bharat

নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা ছিল আগেই, বিমান-ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার ব্ল্যাক বক্স

বন্দে ভারত মিশনে দুবাই থেকে কালিকট ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস IX-1344, B 737। গত সন্ধেয় 7টা 40 মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি । বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স । দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথনও উঠে আসতে পারে তদন্তে ।

air india
ছবি - ANI

কোঝিকোড়, 8 অগাস্ট : এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হল ব্ল্যাক বক্স । ফ্লোরবোর্ড কেটে উদ্ধার করা হয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারও । এইগুলি থেকে তথ্য উদ্ধার হলে বিমান দুর্ঘটনার পূর্ববর্তী সময় কী ঘটেছিল তা আরও স্পষ্ট হবে । এইদিকে কোঝিকোড় বিমানবন্দর নিয়ে নিরাপত্তার ইশু আগেই ছিল বলে প্রকাশ্য এসেছে আরও কিছু তথ্য । DGCA-র তরফে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে । অভিযোগ উঠেছে, গতকাল অবতরণের আগে পরীক্ষা করা হয়নি রানওয়ে ।

ডিরেক্টরেট জেনেরাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার । এর মধ্যে সঞ্চিত রয়েছে 100-র বেশি ডেটা পয়েন্ট । বিমান অবতরণের সময় পরিস্থিতি কী ছিল, বিমানের গতিবধি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যেতে পারে । অর্থাৎ বিমানের গতি, সিস্টেম স্টেটাস জানতে পারা যাবে । দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথনও উঠে আসতে পারে তদন্তে ।

ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হবে দিল্লিতে । উড়ান কর্তপক্ষের তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখবেন । আশা করা হচ্ছে, প্রকাশ্যে আসবে আরও তথ্য । দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে ।

আজ দিল্লিতে ডিরেক্টরেট জেনেরাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন, অসমারিক বিমানমন্ত্রকের আধিকারিক, এয়ারপোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসের সদস্যরা বৈঠক করবেন । রাজিব গান্ধি ভবনে হবে বৈঠক । DGCA-র তরফে জানানো হয়েছে, আমরা তদন্ত শুরু করেছি । এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেসটিগেশন বিউরোর একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে ।

একাধিকবার কোঝিকোড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ইশু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । প্রথমবার সতর্ক করা হয় নয় বছর আগে । 2011 সালে টেল উইন্ডে বিমান অবতরণ ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন অসমারিক বিমান বিশেষজ্ঞ ক্যাপটেন মোহন রঙ্গনাথন । সেই সময় সিভিল অ্যাভিয়েশন সেফটি অ্যাডভাইসরি কমিটি (CASAC)-র অপারেশনস গ্রুপের সদস্য ছিলেন তিনি ।

মোহন সতর্ক করেছিলেন, কোঝিকোড়ের রানওয়েতে 'টেল উইন্ড'-এ (বিমানের টেল অর্থাৎ পিছনের দিক থেকে বাতাস এলে তাকে টেল উইন্ড বলা হয় ) বিমান অবতরণ ভয়ঙ্কর । যাত্রীদের জীবন সংকট হতে পারে । গত সন্ধ্যার বিমান-দুর্ঘটনার কারণ এও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । 2010 সালে মেঙ্গালুরুতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরেই সতর্ক করেছিলেন মোহন রঙ্গনাথন । সেই দুর্ঘটনায় 158জনের মৃত্যু হয়েছিল ।

2015 সালে রানওয়ে নিয়ে কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করেছিল ডিরেক্টর জেনেরাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) । কিন্তু সেইসব সমস্যাগুলি সমাধান করা হয় । 2019-এ কোঝিকোড় বিমানবন্দরকে অনুমোদন দেয় DGCA । এমনকী এয়ার ইন্ডিয়ার জাম্বো জেটও সেখানে অবতরণ করত বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিং । তিনি বলেন, "নির্ধারিত রানওয়েতে অবতরণ করতে পারেনি বিমানটি । তাই অন্য় রানওয়েতে অবতরণ করে । সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং বিমানবন্দর আবার সচল হবে ।"

গত বছর একটি অডিট রিপোর্টে কোঝিকোড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে । শো-কজ় করেছিল DGCA । একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, 2019-র 11জুলাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে শোকজ় করেছিল DGCA । বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্ন করা হয়েছিল । নির্দেশিকায় সতর্ক করা হয়, 'ভারী বৃষ্টিতে অবতরণ ভয়ানক হতে পারে' । সতর্কতা থাকার পর কি সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল? উঠছে সেই প্রশ্ন ।

" যেন এক দুঃস্বপ্ন"

বন্দে ভারত মিশনে দুবাই থেকে কালিকট ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস IX-1344, B 737। গত সন্ধেয় 7টা 40 মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি । খাদে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায় । মৃত্যু হয় পাইলটসহ অন্ততপক্ষে 18 জনের ।

কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনা : মৃতদের পরিবারপিছু 10 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

Last Updated : Aug 8, 2020, 5:54 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details