লখনউ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার মূলচক্রী আবদুল রশিদ গাজ়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। জেরায় স্বীকার করল উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে ধৃত দুই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। পাশাপাশি, ATS-র হাতে কয়েকটি ভয়েস মেসেজ এসেছে। তা থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল দু'জনের।
শুক্রবার দুই সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ ATS। একজনের নাম শাহনওয়াজ় আহমেদ। বাড়ি কুলগ্রামে। BA ফার্স্ট ইয়ার পরীক্ষায় পাস করেছিল। পাশাপাশি, একটি কম্পিউটার কোর্স করত। সে তরুণদের মগজধোলাই করে জইশে যোগ দেওয়াত। অপরজনের নাম আকিব আহমেদ মালিক। সে পুলওয়ামার বাসিন্দা। ক্লাস টুয়েলভ পাস। তার বাবা ছুতোর আর দাদা শিক্ষক। তাদের জেরা করে গোয়েন্দাদের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, জইশ-ই-মহম্মদের যোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা। একজনের ফোন থেকে ভয়েস রেকর্ড পাওয়া গেছে। সেখানে শোনা গেছে, তারা কোনও "বড় কাজ"-এর পরিকল্পনা করছে। সেজন্য কয়েকটি জায়গায় "সামান" নিয়ে যাওয়া হবে। আর সেই "বড় কাজ" তাড়াতাড়ি করতে হবে বলতেও শোনা যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, "বড় কাজ" বলতে কোনও হামলার ছক কষছিল তারা। আর "সামান" বলতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝানো হয়েছে।
জেরায় উঠে আসা তথ্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাছে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের DGP দিলবাগ সিং বলেন, "ধৃতরা আমার সামনেই জইশ যোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও হাতে এসেছে। তা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশাবাদী আমরা।"
শাহনওয়াজ় ১৮ মাস ধরে জইশের সঙ্গে যুক্ত। অপরদিকে, ছ'মাস আগে আকিব জইশের সংস্পর্শে এসেছে। ধৃতরা জানিয়েছে, জইশের কয়েকজন মাথা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতরা BBM-র মাধ্যমে মেসেজ করত। কার সঙ্গে কথা বলছে তা লুকোনোর জন্য ভার্চুয়াল নম্বর ব্যবহার করত। জইশে সদ্য যোগ দেওয়া তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য তারা দামি গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছিল বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেজন্য তাদের কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে।