বেঙ্গালুরু, 19 জুলাই : দিনভর টালবাহানার পর ঝুলেই থাকল কর্নাটকের ভাগ্য ৷ আস্থা ভোট 22 জুলাই ৷ সন্ধে 6 টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত ৷ দ্বিতীয়বারের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে সময়সীমা বেঁধে দেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা ৷ গতকাল রাতের মধ্যে আস্থাভোট প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য বিধানসৌধের স্পিকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ কিন্তু অধিবেশন মুলতুবি হওয়ায় ফের আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সময়সীমা দেন তিনি ৷ কিন্তু আজও অধিবেশন দুপুর 3 টে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় আবারও পিছিয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া ৷ এবার ফের 6 টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কুমারস্বামীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল ৷
কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার)-র জোট সরকারকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কর্নাটকে টালমাটাল চলছে । আস্থাভোটকে কেন্দ্র করে গতকাল তা চরমে পৌঁছায় । রাজ্যপাল বাজুভাই বালা চিঠি লিখে জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার । রাত 12টার মধ্যে আস্থাভোট পর্ব শেষ করার পরামর্শও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু, তুমুল হট্টগোলের মধ্যে আজ বেলা 11টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় । পরে রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, কুমারস্বামীকে শুক্রবার (আজ) বেলা দেড়টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ।
এরপর আজ বেলা 11টা নাগাদ অধিবেশন শুরু হয় । বক্তব্য রাখেন কুমারস্বামী । বলেন, "প্রথম দিন থেকে আমাকে মসৃণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি । গত 14 মাসে সরকারকে ফেলে দেওয়ার একাধিক চেষ্টা করা হয়েছে । " তিনি দাবি করেন, তাঁর ক্ষমতার লোভ নেই । তাঁর কথায়, "আমি যে মুখ্যমন্ত্রী হব সে বিষয়ে আমার কোনও ধারণা ছিল না । আমার গদি হারানোর কোনও ভয় নেই । আমার পরিবার ক্ষমতার পিছনে পড়ে নেই । আমি যদি চাইতাম চেয়ার বাঁচাতাম । কিন্তু, আমার কাছে চেয়ার গুরুত্বপূর্ণ নয় । সরকার বাঁচাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করব না । " এই অস্থিরতার জন্য তিনি BJP-কে দায়ি করেন । তাঁর অভিযোগ, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই-পুনেতে নিয়ে যাচ্ছিল । তাঁদের 40-50 কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয় । যদিও কুমারস্বামীর বক্তব্যর মধ্যেই BJP বিধায়করা দাবি করেন, "আলোচনা নয়, আমরা ভোটাভুটি চাই । "
কিন্তু, কুমারস্বামী জানিয়ে দেন, রাজ্যপালের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন না । কিন্তু, BJP বিধায়করা দাবি করেন, রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চলা উচিত স্পিকারের । এনিয়ে স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানান, আলোচনা যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে ততক্ষণ আস্থাভোট নিয়ে জোর করা যাবে না । স্পিকার বলেন, "রাজ্যপালের নির্দেশ মানা হবে কি হবে না তা নির্ধারণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী । কারণ তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছে । তাই তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হবে । "
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, "এখনও আলোচনা শেষ হয়নি । 20 জন সদস্য (বিধায়ক) এখনও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি । আমার মনে হয় না, এটা (অধিবেশন) শেষ হবে । সোমবারও এটি চলবে । "