দিল্লি, 23 মে : বয়স মাত্র 15 বছর । অথচ কী অদম্য সাহসী, দায়িত্ববান ও পরিশ্রমী । আর হবে না-ই বা কেন? প্রশ্নটা যখন বাবার জীবনের ও সুরক্ষার তখন মনে হয় সব মেয়েই এরকম বেপরোয়া ও দুঃসাহসী হয়ে ওঠে । তা বয়স 15 হোক বা 51 । তাই তো সাত-পাঁচ না ভেবে লকডাউনে আহত বাবাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে নিয়েই সুদূর দিল্লির গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল 15 বছরের জ্যোতিকুমারী । সাতদিনের মাথায় বাবাকে নিয়েই বাড়ি পৌঁছেছিল । জ্যোতির এই সাহসী পদক্ষেপ ও কাজে প্রভাবিত স্বয়ং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প । না, তাঁদের দু'জনকে কোনওদিনই জ্যোতি ও তার বাবার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি । আর কোনওদিন হতেও হবে না । কিন্তু খুব অদ্ভুতভাবে জ্যোতির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পেরেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প ।
10 মে জ্যোতি তার আহত বাবাকে নিয়ে দিল্লির গুরুগ্রাম থেকে সাইকেলে করে বিহারের দ্বারভাঙার উদ্দেশে রওনা দেয় । সাতদিনের মাথায় 16 মে 1200 কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বাবাকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে সক্ষম হয় জ্যোতি । তার এই লড়াইয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রত্যেকেই আশ্চর্য হয়েছিলেন । আর হবে না-ই বা কেন? জ্যোতির বয়সটা যে মাত্র 15 । সাধারণ মানুষের মতো এই খবরটা আশ্চর্য ও প্রভাবিত করেছিল ইভাঙ্কা ট্রাম্পকেও । তাই তিনি খবরটি নিজের টুইটারে শেয়ার করেন । একইসঙ্গে একটি টুইটও করেন ।