হায়দারাবাদ, 1 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ ৷ তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এদিনের এই জঘন্য অপরাধের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা চালু করার কথা বলেন ৷ পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেন ৷ এদিকে আজ সাইবারাবাদ থানার কমিশনার ভি সি সজ্জনার সুপারিশ করেছেন ধর্ষিতা ওই যুবতির নামের পরিবর্তে 'জাস্টিস ফর দিশা' উল্লেখ করার জন্য ৷ ধর্ষিতার পরিবারের তরফেও এই সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়েছে বলে কমিশনার সূত্রে জানানো হয়েছে ৷
ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ ধৃত ওই চার যুবকের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তকুন্ত চেন্নকেশাভুলু ৷ মহম্মদ আরিফকে (25) এই জঘন্য অপরাধের মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের বয়ান থেকে উঠে এসেছে এই জঘন্য ঘটনা পরম্পরা ৷
কীভাবে ছক কষেছিল নারকীয় এই ঘটনার?
পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে কীভাবে তারা এই জঘন্য অপরাধের ছক কষেছিল ৷ 27 নভেম্বর বিকেল প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেশ কিছু মদের বোতল কিনেছিল ৷ অভিযুক্তরা শামসাবাদ টোল প্লাজ়ার কাছে লরির কেবিনে বসে মদ খাচ্ছিল ৷ কিছু সময় পরে সন্ধ্যা 6টা নাগাদ তারা ওই যুবতিকে প্রথম লক্ষ্য করেছিল ৷ যুবতি লরির পাশে তার স্কুটারটি রেখে নিকটবর্তী একটি ডাক্তারখানায় প্রবেশ করে ৷
ঠিক এই সময়েই নারকীয় ধর্ষণের ঘটনার ছক কষে অভিযুক্তরা ৷ প্রথমেই নবীন ওই যুবতির স্কুটারের টায়ার পাঞ্চার করে দেয় ৷ এরপর রাত প্রায় 9টা নাগাদ তারা লরিটি এগিয়ে নিয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে থোণ্ডাপল্লি জংশনের কাছে অপেক্ষা করছিল ৷ রাত 9টা 18 নাগাদ যুবতি ডাক্তারখানা থেকে বেরিয়ে দেখেন স্কুটারের একটি টায়ার পাঞ্চার ৷