ভুবনেশ্বর, 13 ডিসেম্বর : কোন্ডো উপজাতিভুক্ত এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান জুলিমা । তাঁর বাড়ি ওড়িশার বান্ধুডি এলাকায় । পরিবারকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করার জন্য মাঝপথে পড়া থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি । সেই সময় জুলিমা একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত হন এবং স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন । তাঁর সমাজে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল জুলিমার সে সময় সব থেকে বড় কাজ । কোন্ডো উপজাতিভুক্ত 12 টি নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রুখেছেন তিনি ।
বাল্য বিবাহ রোধে জুলিমার লড়াই কুর্নিশযোগ্য
শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এবং বাল্য বিবাহের বিপক্ষে জুলিমার লড়াইয়ের স্বীকৃতি UNICEF দ্বারা পুরস্কৃত । গোটা দেশ থেকে যে 10 জনকে বাছা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জুলিমা একজন । নিজের এবং তাঁর চারপাশের সমাজের উন্নয়নের জন্য যাঁরা সারা জীবন ধরে কাজ করে চলেন, তাঁদেরই সম্মান জানিয়ে পুরস্কার দেয় UNICEF ।
এর পর মুক্ত বিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি । পাশাপাশি স্কুলে যোগ দিতে এবং লেখাপড়া শুরু করতে তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মীদের উৎসাহ দিতে থাকেন । স্কুলছুটদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার কাজটাও এর সঙ্গে চালিয়ে যেতে থাকেন জুলিমা । তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকেও বিশেষ ভাবে নজর দেন ।
বর্তমানে জুলিমা শিশু অধিকার এবং বাল্য বিবাহ রোধের জন্য সচেতনতা প্রচারমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর উপজাতিভুক্ত মানুষগুলোর মধ্যে । শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এবং বাল্য বিবাহের বিপক্ষে তাঁর লড়াইয়ের স্বীকৃতি UNICEF দ্বারা পুরস্কৃত । গোটা দেশ থেকে যে 10 জনকে বাছা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জুলিমা একজন । নিজের এবং তাঁর চারপাশের সমাজের উন্নয়নের জন্য যাঁরা সারা জীবন ধরে কাজ করে চলেন, তাঁদেরই সম্মান জানিয়ে পুরস্কার দেয় UNICEF ।