পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়ছে কংগ্রেস-JMM জোট

By

Published : Dec 23, 2019, 7:18 PM IST

Updated : Dec 23, 2019, 8:49 PM IST

ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে জোট ৷ অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল ৷ আজ সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, জোট ও BJP একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে ৷ কিন্তু, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা বদলাতে শুরু করে ৷ একসময় ম্যাজিক ফিগারও পেরিয়ে যায় কংগ্রেস-RJD-JMM ৷ মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় BJP-কে হারিয়ে জোটের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন হেমন্ত ৷ শেষপর্যন্ত 47টি আসন পেয়েছে জোট ৷ BJP-র দখলে 25টি আসন ৷

Jharkhand
ঝাড়খণ্ড

রাঁচি, 23 ডিসেম্বর : BJP-কে হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়ছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-রাষ্ট্রীয় জনতা দল জোট ৷ 81 আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় জোট 47টি আসন পেয়েছে ৷ ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানোর জন্য 41টি আসন প্রয়োজন ৷ 2014-র বিধানসভা নির্বাচনে BJP একাই 37টি আসন পেয়েছিল ৷ তাদের জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্স ইউনিয়ন পেয়েছিল 5টি ৷ সেবার 42 টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করে BJP ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন রঘুবর দাস ৷ 2015 সালে রঘুবরের হাত আরও শক্ত হয় ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার 6 বিধায়ক যোগ দেওয়ায় ৷ কিন্তু, এবার বদলে গেল চিত্র ৷ জনাদেশ রঘুবরের বিপক্ষে ৷ আগেরবার থেকে 12টি কম অর্থাৎ মাত্র 25টি আসন পেয়েছে তারা ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, সব ঠিক থাকলে দ্বিতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন JMM-এর হেমন্ত সোরেন ৷ প্রসঙ্গত, হেমন্তকে মুখ করেই প্রচার করেছিল কংগ্রেস-JMM-RJD জোট ৷ জোটসঙ্গীদের মধ্যেও বেশি আসন পেয়েছে শিবু সোরেনের দলই ৷ তারা পেয়েছে 30টি আসন ৷

ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে জোট ৷ অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল ৷ আজ সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, জোট ও BJP একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে ৷ কিন্তু, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা বদলাতে শুরু করে ৷ একসময় ম্যাজিক ফিগারও পেরিয়ে যায় কংগ্রেস-RJD-JMM ৷ মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় BJP-কে হারিয়ে জোটের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন হেমন্ত ৷ তবে সম্পূর্ণ ফলাফল সামনে না আসা পর্যন্ত আশা ছাড়েননি রঘুবর দাস ৷ ফলাফল তাঁদের পক্ষে যাবেই বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি ৷ যদিও রঘুবরের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ৷ তাঁর মন্তব্য সামনে আসার ঘণ্টাখানেক পর পরিষ্কার হয়ে যায়, মসনদে বসছে কংগ্রেস-JMM-RJD জোট ৷ পরাজিত হন রঘুবর নিজেও ৷

মুখ্যমন্ত্রী যে হতে চলেছেন তা হেমন্তের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ এই জয়ের জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান তিনি ৷ বলেন, "প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, লালুপ্রসাদ যাদব ও সোনিয়া গান্ধিকে ধন্যবাদ ৷ তাঁরা আমার উপর আস্থা রেখেছেন ৷ আমাকে বিশ্বাস করেছেন ৷" তারপরই ঝাড়খণ্ডের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আজ থেকে ঝাড়খণ্ডে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল ৷ জাতপাত, ধর্ম, পেশা নির্বিশেষে কারও কারও বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না ৷" BJP-র হারের কারণ হিসেবে তাঁর ব্যাখ্যা, "সবাই BJP-র প্রতি অসন্তুষ্ট ৷ এমন কী বিনিয়োগপতিরাও ৷ সেই কারণেই হারতে হয়েছে রঘুবর দাসদের ৷" এদিকে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফলকে সামনে রেখে BJP-র বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ান NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ৷ বলেন, "BJP-র পতন শুরু হয়ে গেছে ৷ সাধারণ মানুষ BJP বিরোধী রায় দিচ্ছে, তাই প্রমাণ হচ্ছে বারবার ৷ ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের পর ঝাড়খণ্ডের জনতাও BJP-র বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে ৷"

প্রকৃতপক্ষে কী কারণে ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয়বার ফুটল না পদ্ম? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্স ইউনিয়নের (AJSU) সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়াই BJP-র ক্ষমতায় না ফেরার অন্যতম কারণ ৷ গতবার AJSU 5টি আসন পেয়েছিল ৷ এ বার দুটো আসন পেয়েছে ৷ কিন্তু, বেড়েছে ভোটের শতকরা হার ৷ কেউ কেউ বলছেন, AJSU-র সঙ্গে জোট গড়ে লড়লে ভোটের শতকরা হার বাড়তে পারত BJP-রও ৷ AJSU যে আসন ও শতকরা ভোট পেয়েছে তার লাভ পেত তারাই ৷ আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এও বলছেন, AJSU-র সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়া অনেক ভোটারই ভালোভাবে নিতে পারেননি ৷ তার প্রভাব দেখা গেছে ভোটবাক্সে ৷

প্রসঙ্গত, 2000 সালে বিহার থেকে আলাদা হয়ে রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড ৷ কিন্তু রাজ্যে অচলাবস্থা ফিরে আসে বারবার ৷ সরকারের ভাঙা-গড়া চলেছে ৷ 20 বছরে 6 জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ শুধুমাত্র 2014 সালে ক্ষমতায় আসা BJP-র রঘুবর দাস একটানা মুখ্যমন্ত্রীর আসনে থাকতে পেরেছেন ৷ এবারও সরকার গঠন করছে কংগ্রেস-RJD-JMM জোট ৷ তারা কি পারবে 5 বছর জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে, সেটাই দেখার ৷

Last Updated : Dec 23, 2019, 8:49 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details