শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর ), 5 অগাস্ট : ঠিক একটা বছর । 2019-র 5 অগাস্ট । কাশ্মীরের বিশেষ মযাদা খর্ব করা হয়েছিল । কাশ্মীর ভেঙে তৈরি হয়েছিল দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল , জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ । তখনও লকডাউনের সঙ্গে পরিচিত হয়নি দেশ, কিন্তু নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দুইটি হয়েছিল । জারি হয়েছিল কারফিউ । এরপর কার্যত অর্থনৈতিক ধসের মুখোমুখি হয় জম্মু-কাশ্মীর । এক বছরে ক্ষতি প্রায় 40 হাজার কোটির ।
গত বছর 5 অগাস্ট 370 ধারা এবং 35 এ প্রত্যাহার করা হয় । এরপরই জারি হয় কারফিউ । সাতমাস কারফিউ ছিল । 'সুরক্ষার স্বার্থে' রাতারাতি বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা । ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ একাধিক নেতাকে বন্দী বানানো হয় । দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন জারি হয় কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর, মার্চে । প্রায় এক বছরব্যাপী লকডাউনে জম্মু-কাশ্মীরের আর্থিক অবস্থান পালটিয়েছে । বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর । বাণিজ্য-অর্থনীতি বন্ধ থাকায় প্রায় 40 হাজার কোটির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।
কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসের চেয়ারম্যান(KCCI) শৈখ আসিকের সঙ্গে কথা বলে ETV ভারত । তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের গত এক বছরে 40 হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে । সরকারের জারি করা লকডাউনের কারণেই এই ক্ষতি । অর্থনীতিতে এক বিশাল ধসের সাক্ষী থেকেছে কাশ্মীর । বেকারত্বের হার বেড়েছে । শুধু তাই নয়, আগামীদিনের চাকরির সুযোগ কমেছে । চাপিয়ে দেওয়া এই পরিস্থিতির জন্য ছোটো ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে, চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের ।