সাহেবগঞ্জ ( ঝাড়খণ্ড), 16 জুন : মাত্র 17 দিন আগেই বাবা হয়েছিলেন । তবে একরত্তি মেয়ের মুখটুকুও দেখা হয়ে উঠল না কুন্দন কুমার ওঝার। গতরাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হল তাঁকে।
পাঁচ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন তিনি। 15 দিন আগে কথা হয় শেষবারের মতো। তখনই জানতে পারেন, তাঁর ঘর আলো করে এসেছে ছোট্ট একটি শিশুকন্যা। বাড়ি ফিরে মেয়ের মুখ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কুন্দন। বাড়ি ফিরছেন। তবে সশরীরে নয়, নিথর দেহটি কফিনবন্দী হয়ে ফিরছে ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে ।
ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার দেহারি গ্রামের বাসিন্দা কুন্দন কুমার ওঝা 2012 সালে বিহারের কাটিহার রেজিমেন্টে যোগ দেন। 2017 সালে বিয়ে হয় কুন্দনের। মাত্র 17 দিন আগেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন তাঁর স্ত্রী। কুন্দনের বাবা গ্রামেই চাষবাস করেন। তিনি জানান, পাঁচ মাস আগে শেষবারের মতো বাড়ি এসেছিল ছেলেটা। 15 দিন আগে ফোনে কথা হয়, তারপর আর যোগাযোগ করা যায়নি।
কুন্দন কুমারের বর্তমানে পোস্টিং ছিল পূর্ব লাদাখে। সেখানেই গতরাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে কুন্দন সহ শহিদ হন সেনাবাহিনীর তিন কর্মী।
কুন্দনের মৃত্যুর খবরে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছে পরিবার। সকলের মুখে একটাই কথা, নিজের ছোট্ট মেয়েটিকে একবারও চোখে দেখতে পেলেন না কুন্দন। বাবার আদর থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে গেল 17 দিনের ছোট্ট শিশুটি।