দিল্লি, 30 জানুয়ারি : ইজ়রায়েলের দূতাবাসের বিস্ফোরণ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার পর বড় ধরণের ষড়যন্ত্রের হদিস পেল দিল্লি পুলিশ ৷ দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দুজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে একটি ক্যাব থেকে নামতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ঘটনার তদন্তে ক্যাব চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ এই দুই ব্যক্তি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরক রেখেছিল বলে সন্দেহ পুলিশের ৷ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ পুরো এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ৷ এই বিস্ফোরণে ইরান যোগ আছে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে ৷ বেশ কিছু বিষয়ে ইরানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের মত পার্থক্য় সামনে এসেছে ৷ তবে এই হামলার পিছনে ইরান তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷
দিল্লিতে ইজ়রায়েলের দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে একাধিক রহস্য ঘনীভূত হয়েছে ৷ এই বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর ৷ ফরেনসিক দল বিস্ফোরণ স্থান থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ বিস্ফোরক হিসাবে আরডিএক্স ব্যবহার হলে বিস্ফোরণ অনেক গুণ বেশি হত ৷ আর এর ফলেই ভবিষ্যতে বড় ধরণের নাশকতা ঘটানোর ছক আছে বলে পুলিশের সন্দেহ ৷ গতকালের ঘটনা তার যেন নিছক মহড়া ৷ পুলিশ পৃথক এক সিসিটিভি ফুটেজে অর্দ্ধদগ্ধ গোলাপী রঙের ওড়না ও ইজ়রায়েল রাষ্ট্রদূতকে লেখা একটি চিঠিও দেখতে পেয়েছে ৷ দূতাবাসের কাছে একটি গাছের নিচে রাখা একটি গোপন ক্যামেরায় থাকা ফুটেজ পরীক্ষা করছে পুলিশ ৷ ফুটেজের সময়কাল 1970 সালের ৷ কিন্তু ফুটেজের বিষয়বস্তু এখনও পরিষ্কার নয় ৷