অক্টোবরের 2 তারিখ । সহনশীলতা, শান্তি এবং অহিংসার প্রতীক । বিশ্বজুড়ে দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।
আজ এমন একজন মানুষের জন্মদিন যিনি অহিংসার ধারণা সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন । তিনি মহাত্মা গান্ধি । তাঁর এই চিন্তাধারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলে ।
গান্ধিজির জন্ম 1869 সালের 2 অক্টোবর । 2007 সালে রাষ্ট্রসংঘ এই দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় । মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি, বিশ্বে যিনি মহাত্মা গান্ধি নামে পরিচিত, তাঁর কাজ, আদর্শ, নীতি, অহিংস-প্রতিবাদকে সম্মান জানাতেই তাঁর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধির অবদান, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর লড়াই, শাসক ও শোষণের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদের পদ্ধতি বিশ্বকে একসময় নাড়িয়ে দিয়েছিল । শান্তি অর্জনের জন্য হিংসায় তিনি বিশ্বাস করতেন না । অহিংস নীতিতে তাঁর বিশ্বাস ছিল ।
মহাত্মা গান্ধির মতে অহিংসা কী :
জৈনধর্ম থেকে এই ধারণা তিনি গ্রহণ করেছিলেন । শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিদের প্রতিও হিংসার বিরোধী ছিলেন মহাত্মা । মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি । হিংসা ছেড়ে অহিংস পন্থা অবলম্বনের উপর জোর দিয়েছিলেন । তাঁর এই অহিংস নীতির ধারণার মধ্যে ছিল সত্য, সবার জন্য নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ।
সত্যাগ্রহ :
সংস্কৃত শব্দ 'সত্য' এবং 'আগ্রহ' এই দু'টিকে মিলিয়ে সত্যাগ্রহ । উচ্চভাবাদর্শ ও দৃঢ় অন্তর্শক্তি থাকলে সত্যাগ্রহী হওয়া সম্ভব বলে মনে করতেন মহাত্মা । এটা আত্মশক্তির একটা রূপ । 1908 সালে একটি আর্টিকেলে তিনি লিখেছিলেন, যিনি সত্যাগ্রহ অনুসরণ করেন তিনি নির্ভীকচিত্ত, কারোর দাসত্ব শিকার করেন না । যিনি এই তত্ত্বে বিশ্বাসী তাঁর জয় নিশ্চিত । কারণ তাঁর উপর ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে । তাঁর এই চিন্তা-ভাবনার জন্যই হিন্দু, মুসলিম সকলেই তাঁকে অনুসরণ করতেন ।
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যা সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন এনেছিল :
1. বর্ণবৈষম্য :
1919, 1943, 1968-র মতো 2020 সালেও যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক । ফ্লয়েড, ব্রোনা টেলর, আহমুদ আরবেরি এমন কিছু নাম যাঁরা সাম্প্রতিককালে বর্ণবৈষম্যের শিকার । আজও আফ্রিকান অ্যামেরিকানরা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন । বিশ্বজুড়ে এর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত ।