COVID -১৯ প্রতিরোধে টোসিলিজ়ুমাব
টোসিলিজ়ুমাব হ'ল একটি রিকম্বিন্যান্ট হিউম্যানাইজ়ড মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি যা গুরুতর রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস, সিস্টেমেটিক জুভেনাইল ইডিয়োপ্যাথিক আর্থারাইটিস, জায়ান্ট সেল আর্থারাইটিস ও মারাত্মক সাইটোকাইন রিলিজ় সিন্ড্রোম রোগের চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয় । ভারত সরকার কর্তৃক COVID-19-এর ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল অনুসারে (13.06.2020), টোসিলিজ়ুমাব (অফ লেবেল) ক্রমবর্ধমান অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তাযুক্ত ও যান্ত্রিকভাবে অক্সিজেন নেওয়া রোগীদের স্টেরয়েড ব্যবহার সত্ত্বেও উন্নতি না হওয়ার পর তাদের উপর ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ তবে, COVID - 19 ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ এখনও অজানা । চিনের উহানে একটি কেন্দ্রের গবেষণায় কোরোনা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত 15 জন রোগীর সাইটোকাইন হয়েছিল ৷ তাদের চিকিৎসায় 80 থেকে 600 মিলিগ্রাম টোসিলিজ়ুমাব উপকার দিয়েছিল ৷
ল্যানসেটের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুতর COVID-19-এর আক্রান্তদের মধ্যে টোসিলিজ়ুমাব স্বল্প সময়ের ভ্যাসোপ্রেসার সহায়তার সঙ্গে যুক্ত ৷ যদিও পরিসংখ্যানগত দিক থেকে এর কোনও তাৎপর্য নেই ৷ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, টোসিলিজ়ুমাব ব্যবহারের ফলে চিকিৎসাগত দিক থেকে উন্নতি হয় ও ভেন্টিলেশনে রাখার সময়সীমাও কমে ৷ ( কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে ফলাফল পেলে ওষুধটির সঠিক গুরুত্ব বোঝা যাবে )
COVID-19 প্রতিরোধে রেমডেসিভির
ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট রেমডেসিভির ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছিল ৷ যদিও তার উপকারিতা ছিল সীমিত ৷ তবে, অ্যামেরিকার FDA বড়দের ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারের জন্য EUA (Emergency use authorization) অনুমতি দিয়েছে ৷ এটি ব্যবহারের ফলে কোরোনার উপসর্গ 15 দিন থেকে কমে 11 দিন হয় ৷ ফলে এর চাহিদাও বেড়েছে ৷ DCGI অর্থাৎ ড্রাগ কনট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া রেমডেসিভির যুক্ত সিপ্রেমিকে জরুরি ও অরক্ষিত চিকিৎসায় প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ৷
ঘাটতি
ভারত সরকার কর্তৃক COVID-19-এর ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলের নথিতে (13.06.2020), টোসিলিজ়ুমাবের ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ "এই ওষুধের ব্যবহার এখনও পর্যন্ত দেশে সীমিত ৷ " বিতরণ নীতি অনুসারে, পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য অনুমোদিত সংস্থাগুলি কেবলমাত্র হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করতে পারবে, কেমিস্টদের সরবরাহ করতে পারবে না । যে দামে পাওয়া যায় তার চেয়ে কিছুটা কম দামে ওষুধটি পাওয়ার জন্য কোরোনা রোগীর আত্মীয়রা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ওষুধের দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
সিপলা সংস্থা COVID-19 রেমডেসিভির ড্রাগের জিনেরিক সংস্করণ বাজারে এনেছে । সিপলা এক বিবৃতিতে বলেছে, 100 মিলিগ্রাম শিশি প্রতি ওষুধের দাম 4 হাজার টাকা । তবুও, এই ওষুধের কালো বাজারির খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ এছাড়াও সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কোরোনা প্রতিরোধে রেমডেসিভির ড্রাগ ও ফ্যাভিপিরাবির তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালগুলিকে আটকে রেখেছে শুল্ক দপ্তর ৷ যা উৎপাদনকে প্রভাবিত করছে ।