দিল্লি, 28 জুলাই : এক উপনিবেশীয় প্রথার শেষ হতে চলেছে ভারতীয় রেলে ৷ 160 বছরের পুরোনো মেসেঞ্জার পদ বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল ৷ কোরোনা ভাইরাসের জরে আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে রেল ৷ এবার বাড়তি খরচ কমাতে মেসেঞ্জার পদের বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এক নির্দেশিকায় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও যোগাযোগের জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের সাহায্য নিতে ৷ ডাক মেসেঞ্জারদের আর ব্যবহার করা যাবে না ৷
160 বছরের পুরোনো ‘ডাক মেসেঞ্জার’ পদ বিলোপের সিদ্ধান্ত রেলের - ভারতীয় রেল
কোরোনা ভাইরাসের জেরে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছ ভারতীয় রেল ৷ এই পরিস্থিতিতে বাড়তি খরচ কমাতে ডাক মেসেঞ্জার পদের বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
মার্চের শেষে লকডাউন শুরু হতে রেলের সমস্তরকম পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় ৷ মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে শুরু হয় ট্রেন চলাচল ৷ কিন্তু আর্থিক সংকট এখনও কাটিয়ে ওঠেনি ৷ এই পরিস্থিতিতে বাড়তি খরচ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল ৷ রেলের আদিকারিক, PUE এবং রেলবোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয় সামাজি দূরত্ববিধি মানতে সব বৈঠক ভিডিয়ো কনফারন্সিংয়ে হোক ৷ এর ফলে ডাক মেসেঞ্জারদের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না ৷ রেলের ডাক ব্যবস্থা বন্ধ হলে পরিবহন, স্টেশনারি ও অন্য খরচ কমবে ৷
ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়েছিল ডাক মেসেঞ্জার পদ ৷ ডাক মেসেঞ্জারদের দিনে 500 টাকা ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স দেওয়া হয় ৷ ব্যক্তিগত মেসেঞ্জাররা একই কাজের জন্য পান 800 টাকা ৷ এর পাশাপাশি মেসেঞ্জারদের সমস্তরকম পরিবহনের খরচ দেয় রেল ৷ সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত ও ডাক মেসেঞ্জারদের জন্য বছরে 10 কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় রেল ৷ রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘‘ঔপনিবেশিক যুগের এই প্রথার অপব্যবহার হয়েছে অনেকসময় ৷ আধিকারিকরা নিজেদের কাজের জন্য মেসেঞ্জারদের ব্যবহার করেছেন ৷ তাই গত এক দশক ধরে এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটানোর চেষ্টা চলছে ৷’’ অতীতে যুদ্ধের সময় সেনা ও অস্ত্র নিয়ে রেলের গতিবিধি সম্পর্কে জানা যেত ৷ কিন্তু বর্তমান যুগে এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলে মনে করছে রেল ৷