কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : আসন্ন লোকসভা ভোটে সবকটি বুথে ইন্টারনেটের সংযোগ চায় নির্বাচন কমিশন। এরাজ্যেও যাতে সেই ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য বহু আগে থেকেই সচেষ্ট হয়েছিল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর। এতে ইন্টারনেটহীন বুথ সংখ্যা কমিয়ে আনা গেছে অনেকটাই। নির্বাচনের দিন ঘোষণার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও সংখ্যাটা শূন্যতে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। কমিশনের ভাষায় এগুলোকে বলা হয় “শ্যাডো জোন"। তবে, সংখ্যাটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার তৎপরতা থাকলেও মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের আধিকারিকদের কপালে ভাঁজ। প্রতিকূল পরিবেশে সব বুথে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা যাবে তো ? যদি না করা যায় তবে সেই সব বুথে যোগাযোগের মাধ্যম কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কর্তারা।
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককের দপ্তর সূত্রে খবর, ভোটের দিন দপ্তরের সঙ্গে ভোট কর্মীদের যোগাযোগের মাধ্যম হল SMS বেসড ভোট মনিটরিং সিস্টেম। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, SMS বেসড ভোট মনিটরিং সিস্টেম ১০০ শতাংশ কার্যকরী হয় না। ফলে ভোটের শতাংশের হিসেব আসতেও সমস্যা হয়ে যায়। কারণ নানা সমস্যার কারণে অনেক সময় প্রিজ়াইডিং অফিসারের SMS মুখ্য নির্বাচনী কমিশনের আধিকারিকের দপ্তরে পৌঁছায় না। আর তাই বুথস্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখার জন্য একটি অ্যাপ আনছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। যার মাধ্যমে বুথস্তরের ভোট কর্মীরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে। দিতে পারবেন রিপোর্ট। জানাতে পারবেন অভিযোগ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে এই খবরই মিলেছে। পাশাপাশি শুধুমাত্র SMS বেসড ভোট মনিটরিং সিস্টেমের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন না দপ্তরের কর্তারা। সেটিও অ্যাপ তৈরির অন্যতম কারণ বলে সূত্রের খবর। এই অ্যাপটি কার্যকরী হওয়ার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। পাশাপাশি নির্বাচনে সুরক্ষার অন্যতম ব্যবস্থা ওয়েব কাস্টিংয়ের জন্যও প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বুথের সব ছবি ঘরে বসেই দেখতে পান কমিশনের কর্তারা।