দিল্লি, 23 জুন : লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় স্থিতিশীল পরিস্থিতি একতরফাভাবে বদল করার চেষ্টা করছে চিন । আর এর ফলে হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন কম্যান্ডিং অফিসার-সহ অন্তত তিনজন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে–এই ঘটনায় চিনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত । মঙ্গলবার রাতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে যে, সোমবার রাতে যে সংঘর্ষ এবং আক্রমণ পালটা আক্রমণ হয়েছিল, তাতে ভারতীয় সেনা এবং চিনা PLA বাহিনী, দু’পক্ষেরই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । 1975 সালের পর ভারত-চিন সীমান্তে এই প্রথম দু’দেশ সংঘর্ষে লিপ্ত হল আর তাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটল । আর তাও আবার ঠিক এমন সময়ে, যখন দু’পক্ষের মধ্যে সীমান্তের একাধিক স্থানে সেনা মোতায়েন করা নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা চলার পর, তা প্রশমনের উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের পালা চলছিল ।
MEA মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, "পূর্ব লাদাখের সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনের জন্য সামরিক এবং কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত এবং চিন । গত ছয় জুন, 2020-তে সিনিয়র কম্যান্ডাররা এই নিয়ে সফলভাবে বৈঠক করেছিলেন এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য একটি সর্বসম্মতভাবে পথ বেরও করেছিলেন । একইভাবে উচ্চস্তরে হওয়া ঐক্যমত কার্যকর করতে গ্রাউন্ড কম্যান্ডাররাও বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন ।"
শ্রীবাস্তব আরও জানিয়েছেন, "আমাদের ধারণা ছিল গোটা প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হবে। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC ) এলাকায় 15 জুন, 2020 সন্ধ্যা ও রাতের দিকে চিনা শিবিরের তরফে ওই এলাকায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করা হয় । যার ফলে সংঘর্ষ বাধে । দু’পক্ষেই ক্ষয়ক্ষতি হয় । তবে যা ঘটেছে, তা এড়ানো যেত যদি উচ্চস্তরে হওয়া চুক্তি সতকর্তার সঙ্গে অনুসরণ করত চিনা ।"