দিল্লি, 4 জুলাই : কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । তবে প্যানডেমিকের ডেটা ম্যানেজমেন্টের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে ভারতকে । এমনই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ।
WHO-এর মতে, ভারতের কাছে সবথেকে বড় সমস্যা হল দেশের জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য । পাশাপাশি দেশের রাজ্যগুলি একাধিক এপিডেমিকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে ভারতকে কোরোনার তথ্য সংগ্রহে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।
ভারতে কোরোনা মোকাবিলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেমন রোগনির্ণয়ের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া, লকডাউন নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ধাপে ধাপে আনলক করার মতো দিকগুলিতে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । WHO-এর তরফে আরও বলা হয়েছে, ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ বর্তমানে এমনই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথন সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "ভারত সরকার শুরু থেকেই কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে । WHO-এর সুপারিশ অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকেই বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । আজ ভারতে দিনে 2 লাখেরও বেশি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয় । টেস্টিং কিটগুলি এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে । শেষ দুই মাসে ভারত কোরোনা টেস্টিং কিটের দিক থেকে স্ব-নির্ভর হয়েছে । এটা ভারতে একটা বড় প্রাপ্তি ।"
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "তবে আমি বলতে চাই, ভারতকে কোরোনার তথ্য সংগ্রহে আরও যত্নবান হতে হবে । তথ্য সংগ্রহের সময়, আমাদের একটি সিস্টেম্যাটিক অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগোতে হবে ।"
শুধুমাত্র কোরোনায় আক্রান্ত বা কোরোনায় মৃতের তথ্য প্রকাশ করলে তা আংশিকভাবে প্রকাশ করা হয় । সৌম্যা স্বামীনাথনের মতে, "তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, তা নিয়ে জাতীয় স্তরে একটি গাইডলাইন থাকা দরকার । নাহলে তুলনা করা যাবে না । সব রাজ্য নিজের নিজের মতো করে তথ্যপ্রকাশ করছে ।"