দিল্লি, 28 মে : যত দিন যাচ্ছে আরও জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি । কেবলই প্রকাশ্যে আসছে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা । অনাহারের সঙ্গে লড়ে চলেছে একটা শ্রেণি । আজ ভিডিয়ো বার্তায় তাঁদরে উদ্দেশে কথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি । পরিযায়ীরা খালি পায়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন । লকডাউনে সেই যন্ত্রণার সাক্ষী থাকছে দেশ, একথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন সোনিয়া । কিন্তু কেন্দ্র কি তা দেখতে পাচ্ছে না বলে প্রশ্নও তোলেন ।
লকডাউনের চতুর্থ পর্যায় চলছে । শেষ হওয়ার কথা 31 মে । কিন্তু ধাপে ধাপে লকডাউন উঠবে নাকি এখনও বন্ধ থাকবে কর্মসংস্থান তা স্পষ্ট নয় । এদিকে লকডাউনে কর্মহীন প্রচুর ভারতীয়। দিনমজুরদের ভাঁড়ার খালি । নিঃস্ব হয়ে এক রাজ্য থেকে বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করেছেন তাঁরা । রাস্তায় মৃত্যু হয়েছে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের । এই যন্ত্রণার দিনই কি ভারত দেখতে চেয়েছিল বলে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা ।
একইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা তুলে আজ ভিডিয়ো বার্তায় সোনিয়া কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন । তিনি বলেন, “শ্রমিকদরে ভয়, যন্ত্রণা দেখলেন প্রত্যেকেই । প্রত্যেকে তাঁদের কান্না শুনলেন । কিন্তু হয়ত সরকার সেই কান্না শুনতে বা যন্ত্রণা দেখতে পায়নি ।” কংগ্রেসের তরফে ‘স্পিক আপ’ ক্যাম্পেন করা হয়েছে । যেখানে ভিডিয়ো বার্তায় উঠে আসছে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কথা । পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তা কেন্দ্রের সামনে তুলে ধরছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব । আজ সোনিয়ার এই ভিডিয়ো বার্তা এই ক্যাম্পেনের অংশ ।
কেন্দ্রের কাছে প্রত্যেক গরিব পরিবারকে অন্তত ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে 7500 টাকা দেওয়ার আবেদন করেন সোনিয়া । যদিও তাঁদের 10000 টাকা করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সোনিয়া । তিনি বলেন, “লকডাউনের জন্য বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন । হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে আশ্বাস দিক সরকার । অন্তত বিনামূল্যে নিরাপদে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিক।”
মঙ্গলবার কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট । অন্য রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য পরিবহন, খাবার এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত । অথচ, এখনও পরিযায়ী এবং দরিদ্র শ্রেণির যন্ত্রণা কেন্দ্রের অদেখাই রয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা । তাই অনাহার এবং অভাবের সঙ্গে লড়তে লড়তে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই ।