IIT দিল্লির বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস–এর বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত সইদ ই হাসনৈন বলেছেন যে, ‘‘নভেল কোরোনা ভাইরাসের মিউটেশন নির্ণয় এবং ভাইরাসের জিনোম ক্রমপর্যায় পাঠোদ্ধার করার জন্য যে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি প্রয়োজন, তা ভারতের আছে ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ভারতীয় সংগঠনগুলি ভাইরাস প্রতিরোধের ওষুধ এবং প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করে চলেছে ।
অধ্যাপক হাসনৈন, যিনি একজন বৈজ্ঞানিক নীতি উপদেষ্টাও বটে, জানিয়েছেন যে, প্রতিষেধক তৈরি করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে । জনসাধারণকে তাঁর পরামর্শ, সরকার এবং স্বাস্থ্যবিদদের জারি করা সতর্কতামূলক নির্দেশাবলী মেনে চলুন । এছাড়াও তাঁর মতে, ভাইরাস প্রতিরোধের সবচেয়ে সেরা পদক্ষেপ হল পরীক্ষার হার বৃদ্ধি করা । অধ্যাপক হাসনৈনকে ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানির ‘অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল । 2016 সালে তিনি জামিয়া হামদর্দের উপাচার্য পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । এনাডুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল ।
কী কারণে এই নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হল? আমরা কি একে আগে থেকে সনাক্ত করতে পারি? নতুন ভাইরাসের উদ্ভব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । ভাইরাস কণা ধীরে ধীরে বিকশিত হয় । এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে কয়েক দশক লেগে যায় । এই ভাইরাসের ভৌগোলিক উৎপত্তিস্থলও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আগে থেকে একে সনাক্ত করা কার্যত অসম্ভব । COVID-19 এর মূলে থাকা SARS-COV-2 কোথা থেকে এসেছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা খুব কঠিন । নোবেলজয়ী লুক মন্টাগনিয়ের, যিনি HIV আবিষ্কার করেছিলেন, জানিয়েছেন নভেল কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে গবেষণাগারে । ভারতে COVID-19 নিয়ে গবেষণার কী কী সুবিধা আছে? এই ভাইরাসের জিনোম ক্রমপর্যায় চিহ্নিত করা এবং তার জেনেটিক মিউটেশন নির্ধারণ করার জন্য কিছু মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দরকার । COVID-19 প্রতিরোধী ওষুধ এবং প্রতিষেধক গড়ে তোলায় আমরা পারর্দশী । আমাদের দেশের মধ্যে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) ইমিউনো বায়োলজিক্যাল ওষুধের সেরা প্রস্তুতকারক । অতীতে, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক তৈরি করেছিল ROTAVAC (রোটাভাইরাসের প্রথম প্রতিষেধক) এবং বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছিল ।