পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jul 27, 2020, 10:10 PM IST

ETV Bharat / bharat

বাংলাদেশের হাতে 10 টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তুলে দিল ভারত

ভারতীয় রেলের তরফে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হল 10 টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ৷ উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ৷

aa
ভারত

গেদে, 27 জুলাই : আন্তঃদেশীয় ও অন্তর্দেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনতে চুক্তি অনুযায়ী 10টি ব্রড গাউজ ডিজ়েল লোকোমোটিভ ইঞ্জিন আজ বাংলাদেশের হাতে তুলে দিল ভারত । ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও এ কে আবদুল মোমেন, দুই দেশের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন ছাড়াও রেলমন্ত্রকের মন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাদি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ।

পূর্ব রেলের অন্তর্ভুক্ত নদিয়া জেলার গেদে স্টেশন থেকে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । অপরদিকে বাংলাদেশের তরফে দর্শনা স্টেশন থেকে তা গ্রহণ করা হয় । দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অন্যতম হাতিয়ার রেল । বাণিজ্য, যোগাযোগ স্থাপন এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পথকে আরও মসৃণ করতে রেল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । 2018 সালে শেষবার ভারত সফরে আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তখনই বাংলাদেশের হাতে লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তুলে দেওয়ার চুক্তি করা হয়েছিল ভারতের তরফে । বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপনে পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করে চারটি অপারেশনাল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে । এগুলির মধ্যে রয়েছে পেট্রাপোল(ভারত)-বেনাপোল(বাংলাদেশ), গেদে(ভারত)-দর্শনা(বাংলাদেশ), সিংহাবাদ(ভারত)-রোহানপুর(বাংলাদেশ), রাধিকাপুর(ভারত)-বিরল(বাংলাদেশ) ।

বাংলাদেশের হাতে 10 টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তুলে দিল ভারত

ভারত থেকে বাংলাদেশগামী দু'টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে রয়েছে বর্ধান এক্সপ্রেস (কলকাতা-খুলনা) এবং মৈত্রেয়ী এক্সপ্রেস (কলকাতা-ঢাকা) । তবে বর্তমানে কোরোনা পরিস্থিতির জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে । বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক দিককে মজবুত করতে 17 টি রেলওয়ে সেক্টর প্রজেক্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এরজন্য ভারতের খরচ হবে 2.44 বিলিয়ন । চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিবছর 1 টাকা সুদের হারে এই কিস্তি মিটিয়ে দিতে পারবে 20 বছরে । এছাড়াও বাড়তি পাঁচ বছর মিলবে ছাড় ।

লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালাতে পারবে বাংলাদেশ । আধুনিক প্রযুক্তির এই লোকোমোটিভ ইঞ্জিন WDM3D টাইপ । প্রতি ঘণ্টায় 120 কিমি গতি দিতে সক্ষম 3300 হর্সপাওয়ারের এই ইঞ্জিন । ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই লোকোমোটিভ ইঞ্জিন টানা 28 বছর কাজ করতে সক্ষম । মালবাহী ও প্যাসেঞ্জার দুই প্রকার ট্রেনই চালাতেই সক্ষম এই ইঞ্জিন । এই ইঞ্জিনগুলিতে মাইক্রোপ্রসেসর বেসড কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে । এছাড়াও চালকের আসনটি উন্নত মানের । সম্পূর্ণ চাপমুক্ত ভাবে ট্রেন চালাতে পারবেন চালক । সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দৃশ্যমানতার ব্যবস্থাটিকেও উন্নত করা হয়েছে । কম খরচে যাতে এই ইঞ্জিনগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে ।

আজ অনুষ্ঠানে গোয়েল বলেন, "গত কয়েক বছরে ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে । 1965 সালের আগে থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয় । 7টি রেল লিঙ্কের মধ্যে বর্তমানে 4টি লিঙ্ক কাজ করছে । দুই দেশের মধ্যে রেল যোগযোগ ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করতে আরও একটি লিঙ্ক তৈরি হচ্ছে । এই নতুন লিঙ্কটি ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়াগামী হবে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details