দিল্লি, 5 ফেব্রুয়ারি: দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক বিদ্রোহে মদত দিচ্ছে বিদেশী খালিস্তান পন্থীরা ৷ এই বিষয়ে অ্যামেরিকা সরকারকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলল ভারত সরকার ৷ উল্লেখ্য, সধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের একাংশের হিংসাত্মক আচরণের অন্তরালে বিদেশী খালিস্তান পন্থীদের হাত থাকতে পারে ৷ এর ভিত্তিতেই দিল্লি পুলিশ একটি মামলাও দায়ের করে ৷
গতকালই ভারতের কৃষক আন্দেলন নিয়ে মন্তব্য করেছিল অ্যমেরিকা সরকার ৷ তাদের কথায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ গণতন্ত্রেরই একটি বৈশিষ্ট্য ৷ এদিন ভারতের কৃষক আন্দোলনে বিদেশী খালিস্তান পন্থী যোগ টেনে অ্যমেরিকাকে পালটা দিল ভারত ৷ এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন:শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন অ্যামেরিকার
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "26 জানুয়ারি লালকেল্লায় যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে গত 6 জানুয়ারি ক্যাপিটাল ভবনে ঘটে যাওয়া হিংসার মিল রয়েছে ৷ যে বিষয়ে ভারত সমবেদনা জানিয়েছিল ৷ এইসঙ্গে সে দেশের আইনশৃঙ্খলার উপর ভরসা রেখেছিল ৷"
গতকাল অ্যমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র টুইট করেন, "শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে আমরা সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয় বলে মনে করি ৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্টও তা বলেছে । বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্যকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানকেও আমরা উৎসাহিত করি ৷" এইসঙ্গে অবশ্য কৃষিক্ষেত্রে ভারত সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেন অ্যামেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মুখপাত্র ।" উল্লেখ্য, অ্যামেরিকা এই বিবৃতি দেয় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে পপ তারকা রিয়ানা, পরিবেশ আন্দোলনের মুখ গ্রেটা থুনবার্গ প্রমুখের টুইটের পরে ৷ যার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক টুইট করে, সোশাল মিডিয়ার হ্যাশট্যাগ, তারকাদের মন্তব্য সঠিক কি-না, বা তার মূল্য কতটা সে বিষয়ে প্রশ্ন জাগে ৷
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই বিষয়ে টুইট করে বলেন,"ভারতের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করে, এমন প্রচার কখনই বাস্তবায়িত হবে না ৷"