দিল্লি, 27জুন : মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গ যুক্তকোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য মিথাইলপ্রেডনিসিলন ওষুধের পরিপূরক হিসেবেডেক্সামিথাসন ব্যবহারের অনুমতি দিল সরকার। ডেক্সামিথাসন একটি স্বল্পমূল্যেরস্টেরয়েড ওষুধ। ব্রিটিশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গুরুতর অসুস্থ কোরোনা আক্রান্ত রোগীদেরডেক্সামিথাসন প্রয়োগে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রমাণ মেলার পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাডেক্সামিথাসন উৎপাদন বৃদ্ধির আবেদন জানায়।
কেন্দ্রীয়স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে আজ " ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল:কোভিড-19"সংশোধন করে পুনঃ প্রকাশ করা হয়। মূলত স্বাস্থ্যকর্মীরা এই নথিরেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এর আগে জুন মাসের শুরুতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকঘ্রাণ ও মুখের স্বাদ না পাওয়াকে কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে এই সারগ্রন্থে যোগকরে।
ডেক্সামিথাসনসাধারণত আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিগত60বছর ধরে এই ওষুধ বাজারে উপলব্ধরয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত নথিতে জানানো হয়েছে,যেসকল রোগীদের অতিরিক্ত প্রদাহ হচ্ছেএবং যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হচ্ছে,তাদের চিকিৎসার জন্য এই স্টেরয়েডব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্প্রতি,অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিগবেষণায়2000গুরুতরঅসুস্থ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের উপর ডেক্সামিথাসন প্রয়োগ করা হয়। এদেরমধ্যে যেসকল রোগী কেবলমাত্র ভেন্টিলেটরের সাহায্যেই শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছিলেন,তাদের মধ্যে35শতাংশের মৃত্যু প্রতিহত করা সম্ভবহয়েছে এই ওষুধ প্রয়োগে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে,কেবলমাত্র যে সকল রোগী গুরুতর অসুস্থ,তাদের উপর ক্লিনিক্যাল নজরদারিতেডেক্সামিথাসন প্রয়োগ করা উচিত।
বৃহস্পতিবার,হায়দরাবাদে অবস্থিত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা হেটেরো,যা কোভিড-19 -এর পরীক্ষামূলক ওষুধের জেনেরিক ভার্শন রেমডিসিভিরপ্রস্তুত ও বাজারে বিক্রি করছে,তারা20হাজার ওষুধ দিল্লি ও মহারাষ্ট্র সহ পাঁচটি রাজ্যেপাঠিয়েছে।