লখনউ, 12 অক্টোবর : হাথরসে দলিত কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় আজ গোপন জবানবন্দী দেন মৃতার পরিবার । এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও রঞ্জন রায়ের উপস্থিতিতে তাঁদের জবানবন্দী নেওয়া হয় । অভিযোগ রয়েছে, গণধর্ষণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই দলিত কিশোরীর । ঘটনায় নাম জরিয়েছে উঁচু জাতের চার যুবকের বিরুদ্ধে । 2 নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ।
আজ কিশোরীর বাবা, মা ও তিন ভাইকে হাথরস থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয় । ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা । হাথরসের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, DGP ও ADG (আইন-শৃঙ্খলা) -ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন ।
জেলাশাসক আদালতে জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই গভীর রাতে কিশোরী অন্তিমক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এ-বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের থেকে কোনও চাপ ছিল না ।
এর আগে 1 অক্টোবর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কিশোরীর পরিবারকে মৃত্যু নিয়ে তাঁদের বয়ান দেওয়ার জন্য । কিশোরীর পরিবারকে যাতে আদালতে আসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তা নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাথরস জেলা প্রশাসনকে ।
আরও পড়ুন : বন্ধুত্ব মানতে না পেরে খুন করেছে মা ও দাদা : অভিযোগ হাথরসের অভিযুক্তদের
1 অক্টোবর আদালত জানিয়েছিল, "নির্যাতিতা এবং পরিবারের সদস্যদের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ।" যেভাবে গভীর রাতে কিশোরীর দেহের অন্তিমক্রিয়া করা হয়েছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছিল আদালত । সংবাদমাধ্যমগুলিকেও সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ এবং তথ্য জমা করতে বলেছিল আদালত ।
হাথরসের যুবতিকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে চারজনের বিরুদ্ধে । নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় । এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে । ঘটনার 15 দিন পর 29 সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবতির । পুলিশ ওই নির্যাতিতার দেহ রাতারাতি দাহ করে । অভিযোগ, সেই সময়ে নির্যাতিতার পরিবারকে বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়েছিল । এরপর জল আরও অনেক দূর গড়িয়েছে । বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ।