দিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর : টানা 15দিনের লড়াই শেষ হয়েছে আজ সকালে । হাথরসের 'গণধর্ষিতা'র মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে আট বছর আগের কথা । যেন নির্ভয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি । জীবন-মৃত্যুর টানাপোড়েন । কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি । ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশ । এই ক্ষোভ অচেনা নয় । সেবছর শীতেও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল রাজপথে । আজও সেই একইরকম বিক্ষোভ । তপশিলি জাতিভুক্ত বলেই কি এই অত্যাচার? প্রশ্ন উঠেছে । বিচার চেয়ে দিল্লির হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ভিম সেনা । স্লোগান একটাই, "ফাঁসি দিন !" এইদিকে বিজয় চকে বিক্ষোভ দেখায় মহিলা কংগ্রেস ।
দলিত পরিবারের সদস্য বলেই অত্যাচার ও ধর্ষণ , এই বিষয় প্রথম নয় উত্তরপ্রদেশে । 2014-এ বাদাউনে দুইজন দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল । সেইবারও অভিযোগ ছিল, দলিত পরিবারের সদস্য হয়েও তারা দিনপ্রতি তিন টাকা পারিশ্রমিক বাড়ানোর আবেদন করে । 'শাস্তি' হিসেবে তাদের মারধর ও গণধর্ষণ করা হয় । এরপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছে । যাতে নিম্নবর্ণীয় সমাজে এই উদাহরণ থেকে যায় ।
হাথরসের এই যুবতি নিম্নবর্ণীয় পরিবারের । 14 সেপ্টেম্বর মা ও দাদার সঙ্গে প্রতিদিনের মতো ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে পাশের একটি জমিতে নিয়ে যায় ও গণধর্ষণ করে চারজন৷ জিভ টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷ তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । JNMC-এ চিকিৎসা চলছিল যুবতির । অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সোমবার দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখান থেকে পরে AIIMS-এ নিয়ে আসা হয় । চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবতির শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত ছিল । যার জন্য তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন । শ্বাসও নিতে পারছিলেন না যুবতি ।