পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

বন্ধুত্ব মানতে না পেরে খুন করেছে মা ও দাদা : অভিযোগ হাথরসের অভিযুক্তদের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর হাথরসের পুলিশকে একটি চিঠি লিখে দাবি করেছে, সে এবং 20 বছরের ওই নির্যাতিতা পরস্পরের "বন্ধু" ছিল । গতকাল হিন্দিতে হাতে লেখা চিঠিতে সে আরও দাবি করে, দেখা করা ছাড়াও তারা ফোনে কথাও বলত । চিঠিতে চার অভিযুক্তের টিপসই রয়েছে ।

Hathras rape case
Hathras rape case

By

Published : Oct 8, 2020, 9:42 PM IST

হাথরস, 8 অক্টোবর : হাথরসের যুবতির মৃত্যুর দায় তাঁর পরিবারের উপর চাপাল অভিযুক্তরা । নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চার অভিযুক্ত পুলিশকে লিখিতভাবে জানায়, তাদের বন্ধুত্ব মেনে নিতে না পেরে ওই যুবতির মা ও দাদা তাঁকে খুন করেছে ।

এই মামলায় তাকে এবং অন্য তিন অভিযুক্তকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছে হাথরসে দলিত যুবতিকে গণধর্ষণ করে খুনে মূল অভিযুক্ত । যুবতির মৃত্যুতে নির্যাতিতার মা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পাশাপাশি চার অভিযুক্তের জন্য 'বিচার'ও চেয়েছেন । এদিকে, পুলিশ দাবি করেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আগে থেকেই চিনত নির্যাতিতের পরিবার এমন প্রমাণ রয়েছে, এরপরই এই চিঠিটি দেয় অভিযুক্তরা ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর হাথরসের পুলিশকে একটি চিঠি লিখে দাবি করেছে, সে এবং 20 বছরের ওই নির্যাতিতা পরস্পরের "বন্ধু" ছিল । গতকাল হিন্দিতে হাতে লেখা চিঠিতে সে আরও দাবি করে, দেখা করা ছাড়াও তারা ফোনে কথাও বলত । চিঠিতে চার অভিযুক্তের টিপসই রয়েছে ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে, কল রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে নির্যাতিতার ভাই সন্দীপ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন । পুলিশের দাবি, 2019-এর অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত তাঁর ভাই ও সন্দীপ ঠাকুরের মধ্যে প্রায় 104 বার ফোনকল হয়েছে ।

সন্দীপ ঠাকুর তার চিঠিতে অভিযোগ করেছে, মৃতের পরিবার তাদের 'বন্ধুত্ব' মেনে নিতে পারেনি । তার কথায়, "ঘটনার দিন আমি তাঁর (নির্যাতিতা) সঙ্গে মাঠে দেখা করতে গিয়েছিলাম যেখানে ওর মা ও ভাইরাও ছিলেন । পরে আমি গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানতে পারি, তাঁর মা ও ভাইয়েরা আমাদের বন্ধুত্বের কারণে ওকে মারধর করেছে, খারাপভাবে আহত করেছে । আমি কখনওই তাঁকে মারধর করি না বা তাঁর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি । তাঁর মা এবং ভাইরা আমাকে এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে । আমরা সবাই নির্দোষ । আপনারা দয়া করে তদন্ত করে আমাদের বিচার দিন ।"

অন্যদিকে, অভিযুক্তদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার বাবা । তিনি বলেন, "আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি । এখন তাঁরা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে । আমরা ভয় পাইনি । অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা । আমাদের কোনও ক্ষতিপূরণ বা কোনও অর্থের দরকার নেই । আমরা ন্যায়বিচার চাই ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details