দিল্লি, 3 জুলাই : আজ লাদাখের এক সেনা ছাউনিতে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না করে চিনের প্রসঙ্গে বলেন, "ইতিহাস সাক্ষী, যারা আগ্রাসী, তারা পৃথিবী থেকে মুছে যায় ।" প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিল চিন ৷ তাদের তরফে বলা হয়, "অভিযোগ ভিত্তিহীন ।''
সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ 11 হাজার ফুট উচ্চতায় সিন্ধু নদের ধারে নিমু সেনা ছাউনিতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ছিলেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নারাভনেও । সেখানে জওয়ানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আগ্রাসনের যুগ শেষ হয়ে গেছে । এই যুগ বিকাশের যুগ । ইতিহাস সাক্ষী, যারা আগ্রাসী ও বিস্তারবাদী, তারা হয় পৃথিবী থেকে মুছে গেছে, নয় তো তাদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে ।"
এর ঠিক ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বেজিং থেকে প্রতিক্রিয়া আসে ৷ চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জ়ি রং জানিয়েছেন, "শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চিন তার প্রতিবেশী 14 টি দেশের মধ্যে 12 টির সঙ্গে সীমান্ত সমঝোতায় রয়েছে । বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও । ভিত্তিহীনভাবে চিনকে আগ্রাসী বলা হচ্ছে । প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সমস্যা তৈরি করে চিন, সেই কথাও অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ।"
15 জুনের সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-চিন সীমান্তে । একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, "দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাদাখে বিশেষ আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । এই বিশেষ বাহিনী 2017-এ পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটির বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইকে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল ।"