দিল্লি, 1 মে : কোরোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রকে মজবুত করতে দূতাবাসগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল, কোরোনা পরিস্থিতির পরবর্তী সময়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক প্রসারের সুযোগগুলিকে চিহ্নিত করা, রপ্তানিকারকদের আকর্ষণ করে দেশকে একটি পছন্দের বিনিয়োগক্ষেত্রে পরিণত করা ।
গতকাল সন্ধ্যায় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে 131 টি দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকের পর পীযূষ গোয়েল বলেন, "দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্প ও বাণিজ্যক্ষেত্রগুলিকে উন্নত ও সংস্কার করার লক্ষ্যে এই কোরোনা পরিস্থিতিকে একটি সুযোগে রূপান্তরিত করতে হবে । আর এই সুযোগ ও বাজারের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে দেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলি ।"
তিনি আরও বলেন, "প্রায় 100টি দেশ ভারতের ওষুধ ক্ষেত্র থেকে উপকৃত। তা ছাড়াও প্রতিটি দেশ এমন দেশের সন্ধান করছে, যেখানে স্বচ্ছ লেনদেন, যথাযথ বাণিজ্যিক আইন-কানুন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্যতা রয়েছে । তাই নিজেদের দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কী কী সুযোগ রয়েছে, তা জানিয়ে ভারতকে সাহায্য করবে দূতাবাসগুলি।"
পীযূষ গোয়েল জানান, বাণিজ্যের প্রসার ও বিনিয়োগে বিদেশি সংস্থাগুলিকে আকর্ষণ করা দূতাবাস ও মন্ত্রকের একটি যৌথ দায়িত্ব। তিনি বলেন, "কোরোনা পরিস্থিতির পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়ে দূতাবাসগুলিকে একটি প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবগুলিতে কিছু অভিনব ধারণা থাকতে হবে । এবং কীভাবে রপ্তানির উন্নতি করা যায়, সেবিষয়েও প্রস্তাব দিতে হবে ।"
বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, "এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ক্ষেত্রে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ হল বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ । এখন এই দূতাবাসগুলিকে গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে । দূতাবাসের অফিস থেকে বেরিয়ে এসে নেটওয়ার্কিং করা, বিদেশে থাকা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের ভারতে বিনিয়োগের জন্য রাজি করানোর কাজ করতে হবে ।"বিশেষ করে ওষুধ ও কৃষি খাতে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি । তাঁর আবেদন শুধুমাত্র বিদেশে নয়, ভারতেও যেন সক্রিয় ভূমিকা নেয় এই দূতাবাসগুলি ।