ভোপাল, ১৬ মার্চ : কালকের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন। মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারকে চিঠি দিয়ে বললেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, "যদি 17 মার্চের মধ্যে আস্থাভোটে না যান, তাহলে এটা ধরে নেওয়া হবে যে আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।" শুধু তাই নয়, অধ্যক্ষকে আস্থাভোট করাতে বলায় তাঁর সমালোচনা করে কমল নাথ যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাকে "অর্থহীন এবং ভিত্তিহীন" বলেছেন রাজ্যপাল।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অনুরাগী 22 কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে BJP-র হাত ধরার পর থেকেই মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ ফাঁপরে পড়ে ১৫ মাসের পুরানো কমল নাথ সরকার। এই পরিস্থিতিতে আজ অধিবেশন শুরু হয়।
রাজ্যপাল বিধানসভায় নিজের প্রারম্ভিক ভাষণের সময় জানান, "মধ্যপ্রদেশের সম্মানার্থে সকলকে সংবিধান মেনে চলতে হবে।" এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান ৷ রাজ্যপাল বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা ৷ অন্যদিকে কোরোনা ভাইরাসের প্রসঙ্গ তুলে বিধানসভা সাসপেনশনের দাবি তোলা হয়। কোনও কোনও বিধায়ক মুখে মাস্কও পরে আসেন। উত্তাল পরিস্থিতিতে আগামী 26 মার্চ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয় ৷ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে কমল নাথ শিবির।
যদিও BJP-র তরফে শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, "কোরোনাও কমল নাথ সরকারকে বাঁচাতে পারবে না। উনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সেই জন্যই উনি আজ আস্থাভোট এড়িয়ে গেলেন।"
এদিকে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় আস্থাভোটের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে BJP শিবির ৷ আস্থাভোট যাতে করানো হয়, সেই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভাকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান ৷ আস্থাভোট নিয়ে BJP-র ওই আবেদনের আগামীকাল শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে ৷ মধ্যপ্রদেশের সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজ্যপালের আদেশ অমান্য করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে BJP শিবির ৷
সন্ধেয় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন কমলনাথ । বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, "রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলাম । বর্তমান রাজনৈতিক ইশু নিয়ে আলোচনা হয়েছে । বিধানসভায় ভাষণের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি । আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে সবকিছু করার জন্য তৈরি কিন্তু তার বাইরে যাব না ।" সঙ্গে বলেন, "BJP অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ঠিকই আজ পর্যন্ত আমাদের কাছেই সংখ্যা আছে ।"