শ্রীনগর, ১৮ ফেব্রুয়ারি : সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড আবদুল রাশিদ গাজ়ি এবং জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার কামরান। আজ ভোররাত থেকে পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেনার কাছে খবর ছিল কামরান এবং গাজ়ি পুলওয়ামায় পিংলান গ্রামের একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে। এরপরেই সেখানে অভিযান চালায় সেনা। গোটা এলাকাটি তারা ঘিরে ফেলে।
সেনার গুলিতে খতম পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড গাজ়ি ও কমান্ডার কামরান
সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড আবদুল রাশিদ গাজ়ি এবং জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার কামরান।
সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে ইতিমধ্যে শহিদ হয়েছেন চার জওয়ান। তাঁদের নাম ভি এস ধউনদিয়াল, শেও রাম, অজয় কুমার এবং হরি সিং। পাশাপাশি সেনার গুলিতে খতম হয় কামরান ও গাজ়ি।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, IED বিশেষজ্ঞ গাজ়িই আদিল দারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় CRPF-র কনভয়ে আদিলই আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটায়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পুলওয়ামায় হামলার কিছুদিন আগে জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনী সংঘর্ষ চলাকালীন গাজ়ি ওরফে রশিদ আফঘানি কাশ্মীর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। গাজ়ি জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজ়হারের খুবই বিশ্বস্ত এবং কাছের লোক ছিল। তার আফগানিস্তানে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল।
২০১৮ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হয় মাসুদ আজ়হারের ভাইপো উসমান। এর বদলা নিতে গাজ়ি ও আরও দুই জঙ্গিকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল ৯ ফেব্রুয়ারির (আফজ়ল গুরুর মৃত্যুদিন) মধ্যে পুলওয়ামার মাটিতে বড় কোনও হামলার।