দিল্লি, 11 জানুয়ারি : দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কিউরেটিভ পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ সেই পিটিশনের শুনানি হবে 14 জানুয়ারি ৷ নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত দুই অপরাধীর কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি হবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৷বিচারপতি এন ভি রমন, অরুণ মিশ্র, আর এফ নরিম্যান, আর ভানুমতী ও অশোকভূষণের বেঞ্চে শুনানি হবে 14 তারিখে ৷
দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মা প্রথমে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে । দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টের মৃত্যুদণ্ডের রায়টি সংশোধন ও খারিজ করার মামলাও করেছে বিনয় । এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে অপর এক সাজা প্রাপ্ত মুকেশ সিং ৷
7 জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসির নির্দেশ দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট । আগামী 22 জানুয়ারি সকাল 7 টায় ফাঁসি দেওয়া হবে তাদের । আদালত এরপর তাদের 14 দিনের সময় দেয় আইনানুগ কাজকর্ম সেরে নেওয়ার জন্য । তারপরই বিনয় শর্মার আইনজীবী এ পি সিং জানিয়ে দেন তিনি সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন জমা দেবেন । সেইমতোই আজ পিটিশন দাখিল করে বিনয় শর্মা ।
16 ডিসেম্বর, 2012 ৷ দক্ষিণ দিল্লিতে সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার সময় বেসরকারি বাসে ধর্ষিত হন নির্ভয়া । বাসে ছ'জন তাঁকে ধর্ষণ করার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় । 17 ডিসেম্বর, 2012 । ঘটনায় ছ’জন অপরাধীর মধ্যে চারজন রাম সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংকে শনাক্ত করা হয় । পরদিনই গ্রেপ্তার হয় চারজন । 21 ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয় পাঁচ নম্বর অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর ।
29 ডিসেম্বর, 2012 ৷ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান নির্ভয়া । চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও তাঁর শরীরের ক্ষত গভীর হওয়ায় মৃত্যুর কাছে হেরে যান । দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ । দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয় দেশ । শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া ।