কাশ্মীর , 13 মার্চ : জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার গৃহবন্দী থাকার আদেশ আজ প্রত্যাহার করল কেন্দ্র ৷ আজ কেন্দ্রের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্ল্যানিং রোহিত কানসালকে বিষয়টি জানানো হয় ।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, " আমি প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লাজির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনের কামনা করি । আমি চাই ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিও PSA থেকে মুক্তি পান এবং অবিলম্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যোগদানের অনুমতি পান । "
গতবছর অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় । গঠিত হয় দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল । তখন থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফ্তিকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক করে গৃহবন্দী করে রাখা হয় । এরপর থেকে বহুবার তাঁদের মুক্তির দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা ।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হোক । এই মর্মে কেন্দ্রকে যৌথ প্রস্তাব পাঠায় দেশের 8 টি বিরোধী দল । এইচ ডি দেবেগৌড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, NCP নেতা শরদ পাওয়ার, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি , CPI নেতা ডি রাজা, CPI(M) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও RJD সাংসদ মনোজ ঝা এই প্রস্তাব পাঠান ৷
যদিও কেন্দ্রের দাবি ছিল, কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাদের প্রয়োজনের থেকে একদিনও বেশি গৃহবন্দী রাখা হবে না । লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।
কেন্দ্রের দাবি, ফারুক আবদুল্লা বাইরে থাকলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে । তাই কাশ্মীরে 370 ধারা প্রত্যাহারের আগের দিন ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল । পাশাপাশি তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, PDP নেত্রী মেহবুবা মুফতি, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ গোনি লোনকেও গৃহবন্দী করা হয় ৷ তবে ফারুক আবদুল্লাকে ছাড়ার নির্দেশ দিলেও বাকিরা এখনও গৃহবন্দী ।