পটনা, 17 ডিসেম্বর : কয়েক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ । কপির বস্তা পিছু প্রায় হাজার চারেক টাকার খরচ । কিন্তু বেচতে গেলে কেজি পিছু এক টাকা । ভাবা যায় ! রাগে-দুঃখে নিজের হাতে তৈরি বিঘার পর বিঘা কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন বিহারের সমস্তিপুর জেলার মুক্তাপুরের কৃষক ওমপ্রকাশ যাদব । এছাড়া আর কী বা করতেন তিনি ।
ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, "প্রথমে তো কপি কাটানোর জন্য শ্রমিক । তারপর নিজের খরচেই বস্তায় ভরতে হয় । গোরুর গাড়ি বা অন্য কোনও গাড়িতে করে মান্ডিতে নিয়ে যেতে হয় । এবার মান্ডিতে নিয়ে যাওয়ার পর আর দোকানিরা কিনতে চায় না । কেজি পিছু এক টাকা দরেও বিক্রি হয় না । এই পরিস্থিতি । বাধ্য হয়েই কপি খেতের উপর ট্রাক্টর চালিয়ে দিয়েছি । এবার সেখানে গম চাষ করা হবে । এর আগে গমও অনেক নষ্ট হয়েছে । এইসবের পরেও সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি মাত্রা 1 হাজার 90 টাকা ।"
খেতে কপির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়ার এই খবর গিয়ে পৌঁছায় রাজধানীতেও । বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কমন সারভিস সেন্টারকে নির্দেশ দেন ওই কৃষককে সাহায্য করার জন্য । এরপর কমন সারভিস সেন্টার ওই কৃষকের ফসল দশ গুণ দামে কেনে । ফসলের পুরো দাম পৌঁছে যায় কৃষকের অ্যাকাউন্টে ।
এর পর বিহারের অন্যান্য জেলা থেকেও একই ধরনের ছবি সামনে আসে । মুজফ্ফরপুরের সরফুদ্দিনপুরের দুই কৃষক কপির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশায় 10 বিঘা খেতের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেন ।
বলে রাখা প্রয়োজন, কমন সার্ভিস সেন্টারের ই-মার্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের ফলানো ফসল নিজেদের গ্রাম থেকে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করার সুযোগ পান । পাশাপাশি, এটি কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্যও দেবে । কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীরও ঝামেলা নেই এখানে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃষকদের বোঝাতে চাইছেন, যে নতুন আইনে কৃষকরা কোনও মধ্যসত্ত্বভোগীদের ঝামেলা ছাড়াই ফসল বিক্রি করতে পারবেন ।