পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

ভোট ব্যাঙ্কের জন্য তিন তালাকের মতো কুপ্রথা বন্ধের সাহস দেখায়নি : অমিত শাহ - প্রত্যেকেই জানে তাৎক্ষণিক তিন তালাক কুপ্রথা

তাৎক্ষণিক তিল তালাক যে কুপ্রথা, তা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই ৷ সংসদে কয়েকটি বিরোধী দল তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধে বিলের বিরোধিত করেছে ৷ তবে তারা জানে যে এটা কুপ্রথা ৷ বন্ধ হওয়া দরকার ৷ তবে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধের সাহস দেখাতে পারেনি ৷ আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷

অমিত

By

Published : Aug 18, 2019, 6:37 PM IST

Updated : Aug 18, 2019, 7:23 PM IST

দিল্লি, 18 অগাস্ট : সদ্য শেষ হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনে রেকর্ড সংখ্যক বিল আইনে পরিণত করেছে মোদি সরকার । তার মধ্যে অন্যতম ছিল তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিলটি । তিন তালাক বিরোধী বিলটির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "তাৎক্ষণিক তিল তালাক যে কুপ্রথা, তা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই ৷" পাশাপাশি সংসদে এই বিলটির বিরোধিতা করায় বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "সংসদে কয়েকটি বিরোধী দল তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধে বিলের বিরোধিতা করেছে ৷ তবে তারা জানে যে এটা কুপ্রথা ৷ বন্ধ হওয়া দরকার ৷ তবে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধের সাহস দেখাতে পারেনি ৷"

তিন তালাক বিরোধী বিলটি পাশ করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সরকারকে । তবে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয় 31 জুলাই । পরের দিনই তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি । 19 সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরী হতে চলা বিলটি মুসলমান সমাজের জন্য কল্যাণময় আখ্য দিয়ে অমিত শাহ বলেন, "আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই । তিন তালাক বিরোধী বিলটির মাধ্যমে মুসলমান সমাজের কল্যাণ হবে । এই বিলে হিন্দু, খ্রিশ্চিয়ান ধর্মাবলম্বী বা জৈনদের কোনও উপকার হবে না । কারণ তাদের এই কুপ্রথা কখনও সহ্য করতে হয়নি ।"

তিন তালাক বিরোধী বিলটিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ভোট ব্যঙ্কের রাজনীতি এই দেশের অনেক ক্ষতি করেছে । তিন তালাক তার অন্যতম উদাহরণ । ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণেই এত বছর ধরে তিন তালাকের মতো একটি কুপ্রথা এই দেশে ছিল ।"

1985 সালে শাহ বানো মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়কে স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, "শীর্ষ আদালত শাহ বোনোর পক্ষে রায় দিয়ে বলেছিল তিন তালাক প্রথাকে বাতিল করতে । পাশাপাশি শাহ বানোকে ক্ষতিপূরণ দিতেও বলেছিল আদালত । আদালত জানিয়েছিল, তালাক দিতে কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণ দর্শানো বাধ্যতামূলক । তবে সেই সময় রাজীব গান্ধি গোঁড়া মুসলিম সমাজের প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে না মেনে আইন আনেন ।"

কংগ্রেসকে এই বিষয়ে বিঁধে তিনি বলেন, "আজও কংগ্রেসের কোনও লজ্জা নেই । তারা বলে তিন তালাকের পক্ষে । কেন ? তাদের কাছে কোনও উত্তর নেই । তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিলটির বিরোধিতা করলেও নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করতে পারেনি ।"

Last Updated : Aug 18, 2019, 7:23 PM IST

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details