দিল্লি : ভারতের কিছু অংশ, বাংলাদেশ এবং নেপাল ভয়ঙ্কর ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়েছে৷ সেই কারণে এই দক্ষিণ এশীয় দেশগুলি মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে 1.65 মিলিয়ন ইউরো সাহায্য করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU)৷ মঙ্গলবার তাঁরা এই ঘোষণা করেছে৷
এর আগে চলতি বছরেই EU-এর তরফে 1.8 মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ ভারত ও বাংলাদেশে সাইক্লোন আমফানের জেরে যে সমস্ত পরিবার মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, তাদের জন্যই গত মে মাসে ওই সাহায্য ঘোষণা করা হয়৷ তার পর মঙ্গলবার আবার এই সাহায্যের কথা জানানো হয়েছে৷ এর ফলে মোট সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়াল 3.45 মিলিয়ন ইউরো ৷
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে EU-এর মানবিক কাজগুলির দায়িত্বে রয়েছেন তেহানি তামান্নাগোড়া ৷ তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত এই বছর ভয়ানক হয়ে উঠেছিল৷ আর এর ফলে অনেকেই তাঁদের আশ্রয়, জিনিসপত্র এবং জীবনযাপনের সামগ্রী হারিয়ে ফেলেছেন৷ তাই তাঁদের জন্য জরুরি সাহায্যের ব্যবস্থা যাতে করতে পারেন আমাদের মানবিক অংশীদাররা৷ সেই কারণেই এই সাহায্য করা হচ্ছে৷’’
‘‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে সাহায্য করে আমরা সেই সমস্ত মানুষের পাশে থাকতে চাইছি, যাঁরা এই কঠিন সময়ে কোনওরকমে জীবনযাপন করছেন ৷ তাঁরা যাতে যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের পায়ে আবার দাঁড়াতে পারেন, সেই কারণেই এই সাহায্য করা হচ্ছে৷’’
বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় 17.5 মিলিয়ন মানুষ ৷ তাঁদের বাড়ি, জীবনযাত্রার অন্যতম অবলম্বন গৃহপালিত পশু ও কৃষি জমি ভেসে গিয়েছে ৷ আর রাস্তা, হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ক্ষতির মুখে পড়েছে৷
EU-এর বিবৃতি অনুযায়ী, 1.65 মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে এক মিলিয়ন ইউরো ‘‘শুধুমাত্র বাংলাদেশের জরুরি মানবিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে৷ সেখানে দুই মিলিয়ন মানুষের খাবার, জল, নিকাশি, পরিচ্ছন্নতা এবং জরুরি আশ্রয়ের প্রয়োজন রয়েছে ৷’’
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘এছাড়া 5 লাখ ইউরো ব্যবহার করা হবে ভারতে ৷ সেখানে খাবার ও জীবনযাত্রার সহায়ক জিনিস, জরুরি ত্রাণ সামগ্রী এবং জল ও নিকাশি পরিষেবায় ব্যবহার করা হবে৷’’
ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে বর্ষার প্রভাব 10.9 মিলিয়ন মানুষের উপর পড়েছে এবং কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের জন্য তৈরি হওয়া সমস্যার জেরে মানুষকে যে লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা এই বন্যার ফলে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷’’