দিল্লি, 24 মে: খুলছে আকাশপথ ৷ দু’মাস পর কাল থেকে চালু হচ্ছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা ৷ তবে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন নিয়মে ধন্দে পড়েছে যাত্রীরা ৷
মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ দেশের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের বাড়ন্ত সংখ্যা দেখে অনেক রাজ্যই এই মুহূর্তে বিমান পরিষেবা চালু করতে নারাজ ৷ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ আজ টুইট করে লেখেন, ‘‘রেড জ়োনগুলিতে বিমান পরিষেবা চালানোর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত ৷’’ অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন তিনি কেন্দ্রকে অনুরোধ করবেন, কলকাতা ও বাগডোগরা থেকে যেন কিছুদিন বাদে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু করা হয় ৷
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী মেনে চালু করা হবে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা ৷ এরমধ্যে যেমন টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি রয়েছে, তেমনই বলা হয়েছে, সকল যাত্রীকেই মাস্ক পরতে হবে ৷ যাত্রীদের একটি মেডিক্যাল হিস্ট্রির যাবতীয় তথ্য একটি সেল্ফ ডিক্লেরাশন ফর্ম বা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে জানাতে হবে ৷ আপাতত বিমানে মিলবে না কোনও খাবার ৷
কেন্দ্রের ঘোষণার পরই বিভিন্ন এয়ারলাইনগুলি বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কয়েক ধাপে বৈঠক করেন যাত্রীদের কোয়ারানটিনে থাকার নিয়ম ও বিমানবন্দরগুলির বিভিন্ন নিয়ম নিয়ে ধাপে ধাপে বৈঠক করা হয় ৷
সংক্রমণের ভয়ে বিভিন্ন রাজ্য বিমান পরিষেবা চালু করার বিরোধিতা করা ও কোয়ারানটিনে রাখার বিষয়ে নানা সংশয় থাকা নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ‘‘যখন যাত্রীরা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে সবুজ সংকেত পাবে, তাহলে তাদের কোয়ারানটিনে থাকার প্রয়োজন কী? সবুজ সংকেত মানেই তো ওই যাত্রী সুস্থ ৷’’
জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগত প্রতিটি যাত্রীকেই 14 দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারানটিনে থাকতে হবে৷ একই নিয়ম জারি করেছে কেরালা সরকারও ৷ তবে যেসকল যাত্রীরা কম সময়ের জন্য রাজ্যে আসবেন, তাদের এই ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে ৷ পঞ্জাব সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে আগত প্রতিটি যাত্রীকেই 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ৷
এদিকে বিহার সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে যাত্রীদের নিজের খরচেই কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশে যাওয়া প্রতিটি যাত্রীকেও হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ৷ কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাদের কোয়ারানটিন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে ৷ কর্নাটকে আগত যাত্রীদের মধ্যে যদি কেউ এমন কোনও রাজ্য থেকে আসে, যেখানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তাদের সাতদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারানটিন ও বাকি সাতদিন হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ৷
কর্ণাটক স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফ থেকে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশকে ‘‘হাই প্রিভেলান্স’’ বা উচ্চ সংক্রমিত রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ এই রাজ্যগুলি থেকে আগত যাত্রীরা 14 দিনের কোয়ারানটিনে থাকতে বাধ্য ৷