দিল্লি, 20 মে:জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে(JNU )হিংসার ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে । JNU-র অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন ক্যাম্পাসে দুষ্কতী হামলার বিরুদ্ধে মামলা করেন । কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হিংসার ঘটনা ঘটে। JNU-র অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন অভিযোগ করেন, দাঙ্গাবাজরা তাঁর উপর চড়াও হয়, তাঁকে মারধর করা হয়। FIR দায়ের করেন তিনি। তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন সুচরিতা সেন। সেই মামলারই দ্রুত শুনানি চেয়েছিলেন অধ্যাপিকা। যা মানল না আদালত।
মামলাকারীর আবদনের উত্তরে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি বসুন্ধরা চৌহানকর জানান, একমাত্র জরুরি মামলাগুলিই কোরোনা পরিস্থিতিতে শুনানি হবে। আদলতের আরও মন্তব্য, মামলাকারীর আবেদন বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরপরেও তা শোনা যেতে পারে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলিরই শুনানি করবে হাইকোর্ট।
এদিকে, আদালতের একটি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি জানিয়েছিল, JNU হিংসার ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলছে। যা জানার পর পুলিশকে তদন্তে গতি আনতে বলেছিল আদালত। অন্যদিকে অধ্যাপক সুচরিতা সেন অভিযোগ করেন, জানুয়ারির 5 তারিখে ক্যাম্পাসের হিংসার ঘটনায় তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। কয়েকজন মুখোশ পরা ব্যক্তি লাঠি ও রড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র ও অধ্যাপকদের আক্রমণ করে। এমনকী ভাঙচুর চালানো হয় ক্যাম্পাস চত্বরে। JNU-র অধ্যাপিকা দাবি, যথেষ্ট প্রমাণ সহই তিনি উত্তর বসন্ত কুঞ্জ থানায় FIR দায়ের করতে চেয়েছিলেন। খুনের চেষ্টা ও দাঙ্গা করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু, ঘটনার পর চার মাস কেটে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর তিনি আইনজীবীদের মারফৎ আদালতে আবেদন জানালে আদালতের নির্দেশে FIR দায়ের করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও বর্তমানে কোরোনা আবহে তথা লকডাউনে সেই প্রক্রিয়াও থমকে রয়েছে। সুচরিতা সেনের আবেদন করেন, এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে তাঁর আবেদনটি শুনুক আদালত।
যদিও আদালতের তরফে জানানো হয়, COVID-19 পরিস্থিতিতে আবেদনকারীর মামলা শোনা হবে না।