দিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর : ফসলের অবশিষ্ট অংশ বা নাড়া পোড়ানোয় বাড়ছে বায়ু দূষণ। বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতিতে যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে । পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা । আদালতে দায়ের হওয়া এক মামলার প্রেক্ষিতে আজ সব পক্ষের মতামত জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পাটিল ও প্রতীক জালানের ডিভিশন বেঞ্চ ।
কোরোনায় দোসর দূষণ, 3 রাজ্যে নাড়া পোড়া বন্ধের আর্জি দিল্লি হাইকোর্টে
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোয় বাড়বে দূষণ, বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট । কোরোনা আবহে নয়া আশঙ্কা রাজধানীতে ।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি 22 অক্টোবর । আদালতের নির্দেশ তার আগেই কেন্দ্র, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং সমাধানসূত্র বের করতে হবে । সুধীর মিশ্র নামে জনৈক ব্যক্তি আইনজীবী মারফত এনিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । সমাধানসূত্র বের করতে ওই তিন রাজ্যে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আর্জি জানান তিনি । কোরোনা পরিস্থিতিতে নাড়া পোড়ানোয় মুমূর্ষু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন তিনি ।
বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে নাড়া পোড়ানো বন্ধের আবেদন দীর্ঘদিনের । 2015 সাল থেকে এই সংক্রান্ত মামলাও চলছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোয় যে অতিরিক্ত ধোঁয়া উৎপন্ন হয় তাতে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় । কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও । আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোরোনায় ইতিমধ্যেই 92 হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাড়া পোড়ানো শুরু হয়ে গেছে বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ।